ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন গত কালই ইঙ্গিত দিয়েছিল, ভারত-পাকিস্তানের সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতা করতে চায় আমেরিকা। দেরি না করে ভারত বুঝিয়ে দেয়, দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানো বরদাস্ত করা হবে না। আর আজ আরও এক ধাপ স্বর চড়িয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অন্যতম প্রধান কাঁটা, কাশ্মীর প্রসঙ্গে সরব হল নরেন্দ্র মোদী সরকার। লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন কাশ্মীরের একটি অংশ বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। গোটা ভূখণ্ডই ভারতের অঙ্গ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজই আমেরিকায় নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত ইজাজ আহমেদ মধ্যস্থতা সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সুস্থিতির জন্য আমেরিকার যে কোনও ইতিবাচক ভূমিকা গোটা অঞ্চলের কাজে আসবে।’’
নয়াদিল্লির অবস্থান, পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সংগঠন যদি চাপ দেয় তা স্বাগত। অন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা তখনই সম্ভব যখন পরিবেশ সন্ত্রাসমুক্ত হবে। কিন্তু ‘অন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা’-র অন্যতম বিষয় কাশ্মীর নিয়ে আজ কড়া ভাষায় নিজের মনোভাব জানিয়েছেন সুষমা। লোকসভায় বিজেডি সাংসদ ভ্রাতৃহরি মাহতাব, গিলগিট বালটিস্তান-কে পাকিস্তানের পঞ্চম রাজ্য করার প্রস্তাব নিয়ে ভারতের অবস্থান জানতে চান। এই ব্যাপারে যে ভারত আগেই তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিয়েছে সে কথা উল্লেখ করেন সুষমা। কিন্তু এই প্রশ্নোত্তরপর্বকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর নিয়ে ঝাঁঝালো মন্তব্য করতেও ছাড়েননি তিনি।
আরও পড়ুন: কোমা থেকে ফিরলেন চিতা
বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘গোটা পাক-অধিকৃত কাশ্মীরই আমাদের। এ ব্যাপারে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। গিলগিট বালটিস্তান নিয়ে পাকিস্তান তাদের মত জানানোর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম।’ সুষমার কথায়, ‘‘কেউ যদি মনে করেন যে এই সরকার আমাদের ভূখণ্ডের উপরে অধিকার ছেড়ে দেবে তবে তিনি মারাত্মক ভুল করছেন। কেবল সংসদের প্রস্তাব নয়, কাশ্মীর নিয়ে আমাদের নিজস্ব অঙ্গীকার আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy