Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ধর্ষণে শরিয়তি আইনের কথা তোলেন না কেন? প্রশ্ন মুসলিম মহিলাদের

শরিয়তকে হাতিয়ার করে পুরুষতন্ত্রকেই কায়েম রাখতে চাইছে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’। শনিবার এমন আক্রমণাত্মক ভাবেই বোর্ডের প্রতি নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন দেশের এক সংখ্যালঘু মহিলা সংগঠনের নেতৃত্ব।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৬ ১৬:০৬
Share: Save:

শরিয়তকে হাতিয়ার করে পুরুষতন্ত্রকেই কায়েম রাখতে চাইছে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’। শনিবার এমন আক্রমণাত্মক ভাবেই বোর্ডের প্রতি নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন দেশের এক সংখ্যালঘু মহিলা সংগঠনের নেতৃত্ব। তিন তালাক এবং বহুগামিতা নিয়ে ‘ল কমিশনে’র প্রশ্নমালা বয়কট করা নিয়েও বোর্ডের কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁরা। এই প্রথা নিয়ে বোর্ডের অনড় অবস্থানে ক্ষুব্ধ দেশের অধিকাংশ মুসলিম মহিলা সংগঠন। ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নুরজাহান সাফিয়া নিয়াজের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে আসলে রাজনীতি করছে বোর্ড।

শুধুমাত্র মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সমালোচনা করেই থেমে থাকেননি আন্দোলনকারী মহিলারা। লখনউয়ের মুসলিম মহিলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নাজনিন আনসারির দাবি, ল বোর্ড নিজেদের স্বার্থেই শরিয়তের আইনকে বিকৃত করছে। তিনি বলেন, “কেবলমাত্র মুসলিম মহিলাদের স্বাধীনতার প্রশ্নেই কেন শরিয়তের আইনের প্রসঙ্গ তোলা হবে?” নাজনিনের প্রশ্ন, “ধর্ষণ বা এ রকম জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত মুসলিম পুরুষদের বিরদ্ধে কেন শরিয়তি আইন প্রয়োগের কথা তুলছেন না এই ধর্মগুরুরা?”

ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলনের সদস্য জাকিয়া সোমান আবার এ নিয়ে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে চান। আগরার মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, দেশ জুড়ে এ নিয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। মুসলিম মহিলারা যাতে ‘ল কমিশনে’র প্রশ্নমালায় নিজেদের মতামত জানাতে পারেন সেই চেষ্টা করবেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমাদের সংগঠনের তরফে মুসলিম মহিলাদের মধ্যে ৫০ হাজার ফর্ম বিলি করা হবে। এ কাজে দেশের ১৫টি শাখা সংগঠনের সাহায্য নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন

মুসলিম মহিলারা পাশে আছেন, আশায় কেন্দ্র

সুখস্মৃতি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shariat laws Rapists Muslim Women
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE