আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে পণ্য-পরিষেবা কর চালু করতে যাতে দেরি না-হয়, তার জন্য একটিমাত্র করের হার বেঁধে দেওয়ার নীতি থেকে অনেকটাই সরে এসেছিলেন অরুণ জেটলি। তার জেরে এ বার তাঁকে কংগ্রেসের পাশাপাশি শিল্পমহল ও ব্যবসায়ী সংগঠনেরও বিরোধিতার মুখে পড়তে হল।
রাজ্যসভায় সিলেক্ট কমিটিতে পণ্য-পরিষেবা কর বা জিএসটি বিল নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস দাবি তুলেছে, তামাক, মদ, বিদ্যুৎকেও জিএসটি-র আওতায় আনতে হবে। জিএসটি চালু হলে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মতো শিল্পোন্নত রাজ্যগুলি রাজস্ব ক্ষতি হবে বলে অভিযোগ তুলেছিল। কারণ জিএসটি আদায় হয় সেখানেই যেখানে পণ্য কেনাবেচা হয়। যেখানে উৎপাদন হয় সেখানে নয়। তাই ওই রাজ্যগুলির জন্য জিএসটি-র উপর বাড়তি ১ শতাংশ করের ব্যবস্থা করেছিলেন জেটলি। আজ কংগ্রেস তাতেও আপত্তি তুলেছে।
সিলেক্ট কমিটিতে যখন জিএসটি-র ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে, তখন আজ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’-ও এ বিষয়ে আপত্তি তুলেছে। আজ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল মুম্বইয়ে সংগঠনের বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘জিএসটি-র উদ্দেশ্য ছিল কর কাঠামোকে সরল করা। কিন্তু এখন প্রস্তাবিত জিএসটি-তে এটি আরও জটিল হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই, জিএসটি-তে করের একটিমাত্র হার চালু হোক।’’
সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সংগঠন ‘ন্যাসকম’-এর ডিরেক্টর বিশাখা ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করে ভুলভ্রান্তিতে ভরা জিএসটি চালুর থেকে দেরি করে সঠিক ভাবে তা আনা ভাল।’’ শিল্পমহলের যুক্তি, এই বাড়তি ১ শতাংশ কর চাপানোর ফলে পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়বে।
কারণ কোনও শিল্পের কাঁচামাল গুজরাত থেকে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশে গেলে প্রতিটি রাজ্যে বাড়তি কর বসবে। পণ্য উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেলে বিদেশ আমদানি বাড়বে। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমদানি কমিয়ে পণ্য উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy