পিএম-কেয়ার্স তহবিলে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট থেকে কোনও অর্থ সাহায্য যায় না। এই যুক্তি দিয়ে ওই তহবিলের টাকা কোথায়, কী ভাবে খরচ হচ্ছে, তা নিয়ে এত দিন যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। নতুন তথ্য বলছে, ওই তহবিলে যত অনুদান জমা পড়েছে, তার প্রায় শতকরা ৬০ ভাগই কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাঁদা। এ নিয়ে আজ কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে, সরকারি বাজেটের অর্থ যেমন করদাতাদের টাকা, তেমনই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অর্থও করদাতাদের টাকা। ফলে সেই টাকা কোথায় কী ভাবে খরচ হচ্ছে, তার হিসেব পরীক্ষা করা জরুরি। কিন্তু পিএম-কেয়ার্স তহবিল নিয়ে সরকার কোনও তথ্যই দিতে রাজি নয়। কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির অভিযোগ, দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতার অভাবের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাতও জড়িয়ে রয়েছে।
কোভিড অতিমারির সময় নতুন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পিএম-কেয়ার্স তহবিল তৈরি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০১৯ থেকে ২০২২-এর মধ্যে ওএনজিসি, এনটিপিসি, ইন্ডিয়ান অয়েলের মতো নবরত্ন, মিনিরত্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পিএম-কেয়ারস তহবিলে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা জমা করেছে। মোট চাঁদার প্রায় শতকরা ৬০ ভাগই এই সংস্থাগুলির দেওয়া। অথচ সেই অর্থ কোথায় খরচ হচ্ছে, কীসের মাপকাঠিতে খরচ হচ্ছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর তথ্যের অধিকার আইনে তথ্য দিতে রাজি নয়।
সিএজি-র হিসেব পরীক্ষাতেও নারাজ। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নামে টাকা তোলা হচ্ছে। তহবিল পরিচালনা করছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। কংগ্রেসের দাবি, এ বিষয়ে আদালতে মামলা ঝুলে রয়েছে। তার দ্রুত শুনানি হোক। কেন্দ্রীয় সরকার পিএম-কেয়ার্স নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)