অশ্লীলতার মুখোশ পরে রেলের ঘরে বাসা বাঁধতে পারে হ্যাকাররা! সম্প্রতি রেল স্টেশনে বিনি পয়সার ওয়াই-ফাই ব্যবহারের ধরন দেখে এমনটাই মনে করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া’ প্রকল্পকে সামনে রেখে রেল স্টেশনে নিখরচে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল, রেল স্টেশনে বসেও যাতে লোকে নেট ব্যবহার করে দরকারি কাজ সেরে নিতে পারেন। কিন্তু সেই পরিষেবা ব্যবহারের ধরন দেখে তাজ্জব রেলকর্তারা। তাঁরা বলছেন, রেলের ১ জিবিপিএস স্পি়ডের ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেকে গান শুনছেন, ভিডিও দেখছেন, ডাউনলোড করছেন নানা গেম বা অ্যাপ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে গত এক মাসে যত লোক এই পরিষেবা ব্যবহার করছেন, তার একটা বড় অংশ অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখছেন। এই পর্ন-প্রীতির তালিকায় শীর্ষে পটনা।
পটনা স্টেশনে ওয়াই-ফাই চালু হয়েছে এক মাস। তাতে ছবিটাই যেন বদলে গিয়েছে। রেলকর্তাদের সন্দেহ, অনেকেই বিনি পয়সায় ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে টিকিট কেটে স্টেশনে ঢুকছেন। পটনা স্টেশনে গত এক মাসে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের বিক্রিও বেড়েছে। শুধু স্টেশনের ভিতরেই নয়, স্টেশন লাগোয়া চত্বরেও দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছেলেছোকরার দল। হাতে হয় স্মার্টফোন, নয় ট্যাব।