সম্পত্তির জন্য জীবিত স্বামীকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করার অভিযোগ উঠল জলন্ধরের এক মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ১৯৯৮ সালে ‘ডাঙ্কি রুটে’ (চোরাপথে) ভারত থেকে আমেরিকা গিয়েছিলেন ওই মহিলার স্বামী। বছর দুয়েক আগে তিনিও একই ভাবে আমেরিকা যান। মার্চে দেশে ফিরে এসেছিলেন। এসেই জানান, তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন! মৃত্যুর জাল শংসাপত্র বানানোর অভিযোগ উঠেছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে।
কুলদীপ সিংহ ২৭ বছর আগে চোরাপথে আমেরিকায় যান। সেখানকার নাগরিকত্বের জন্য আবেদনও করেন। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। নাগরিকত্ব না পেলেও আমেরিকাতেই থেকে গিয়েছিলেন কুলদীপ। গত ২২ এপ্রিল কুলদীপের ভাইপো অভিযোগ করেন, তাঁর কাকা ১৯৯৮ সালে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। তাঁর বড় ছেলে গুরজিৎ আমেরিকায় এবং ছোট ছেলে মনিন্দর ফিলিপাইনে থাকেন। সেখানকার নাগরিকত্বও পেয়েছেন। ২০২৩-২৪ সালে তাঁর কাকিমা কমলজিৎ কৌরও আমেরিকায় যান। তবে এ বছরের মার্চে ফিরে আসেন তিনি। এসেই নওগাজাতে কাকার জমির দাবি জানান। কুলদীপের মৃত্যুর খবর তখনই জানাজানি হয়!
গ্রামের পঞ্চায়ের সদস্য সুখদেব সিংহ এবং সরপঞ্চ সুমনের সঙ্গে যোগসাজশ করে কুলদীপের মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র জোগাড় করার চেষ্টা করেন কমলজিৎ। তিনি দাবি করেন, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ কুলদীপ মারা গিয়েছেন এবং নওগাজা গ্রামের শ্মশানেই তাঁকে দাহ করা হয়।
আরও পড়ুন:
এই খবর আমেরিকায় কুলদীপের কাছে পৌঁছয়। তার পরই তিনি নিজের বেঁচে থাকার প্রমাণ হিসাবে নিজের একটি ভিডিয়ো করে তাঁর ভাইপোকে পাঠান। সেখানে কুলদীপকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি বেঁচে আছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতার করা হয় কুলদীপ, সুখদেব এবং সুমনকে।