ভাঙচুরের পর রাজেন্দ্র চৌহানের বাড়ি। রবিবার করিমগঞ্জে। ছবি: শীর্ষেন্দু সী
প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষে স্বামীকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ ফেলে দিল এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে করিমগঞ্জে। তা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত সঙ্গীতা উপাধ্যায়, প্রেমিক রাজেন্দ্র চৌহানের বাড়ি ভেঙে দিয়ে স্কুটার, আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেন। দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ৯ বছর আগে করিমগঞ্জের দুল্লর্ভছড়ার ব্লক রোড এলাকার অমল সিনহাকে বিয়ে করে সঙ্গীতা। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তাদের এক ছেলে রয়েছে। অমলবাবু গুয়াহাটিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কয়েক দিন আগে স্ত্রীকে গুয়াহাটিতে নিয়ে যেতে বাড়িতে ফেরেন তিনি। কিন্তু সঙ্গীতা কোনও ভাবেই গুয়াহাটি যেতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে দু’জনের ঝামেলা চলছিল। অমলবাবু জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী রাজেন্দ্র চৌহানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তার জন্যই সে গুয়াহাটি যেতে চাইছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪ মার্চ রাতে দু’জনের মধ্যে প্রচণ্ড বচসা হয়। তার পর থেকেই নিখোঁজ হন অমলবাবু। তাঁর বাবা অনিল সিনহা দুল্লর্ভছড়ার অন্য একটি জায়গায় থাকেন। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার খবর জানতে পেরে দু’দিন পর রাতাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ তোলা হয় সঙ্গীতা এবং রাজেন্দ্রর বিরুদ্ধে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। কিন্তু তারা কোনও কথা বলতে চায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা কোনও একটি সূত্রে জানতে পারেন, রাজেন্দ্রর বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আজ সকালে রামকৃষ্ণনগরের সার্কেল অফিসার ডি বাগলারি, রাতাবাড়ি থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। তার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য করিমগঞ্জে পাঠানো হয়। এর পরই এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়ি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি স্কুটার, বিছানা জ্বালিয়ে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রামকৃষ্ণনগরের সার্কেল অফিসারকে ঘিরে ধরে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে বলেন। তা ছাড়া ৯০ দিনের মধ্যে মামলার চার্জশিট দিতেও আর্জি জানানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy