Advertisement
০৫ মে ২০২৪

কর্নাটক: সংখ্যা গরিষ্ঠতা কি হারাবে সরকার? বল স্পিকারের কোর্টে

আজ কংগ্রেসের ৮ জন ও জেডিএসের ৫ জন বিধায়ক স্পিকার রমেশ কুমারের দফতরে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন।

একজোট: কর্নাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে বেরোচ্ছেন কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কেরা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে। ছবি: পিটিআই।

একজোট: কর্নাটকের রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে বেরোচ্ছেন কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কেরা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০২:৫২
Share: Save:

একক বৃহত্তম দল হয়েও কর্নাটকে সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। তার পর থেকে বারবারই দল ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। লোকসভা ভোটে মাত্র একটি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস এবং জেডিএস। মোদী ঝড়ে দুই দল কার্যত মুছে যাওয়ার পর থেকেই বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ আরও বেশি করে উঠছিল। আজ চরমে ওঠে দল ভাঙা বা ভাঙানোর খেলা। বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, এর সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।

আজ কংগ্রেসের ৮ জন ও জেডিএসের ৫ জন বিধায়ক স্পিকার রমেশ কুমারের দফতরে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে আসেন। স্পিকার ছিলেন না। তাঁর দফতরকে বলে দেন, পদত্যাগপত্র জমা নিয়ে নিতে। সেই সঙ্গে জানান, রবিবার ছুটির দিন। সোমবার দফতরে গিয়ে বিষয়টি দেখবেন। আর সরকারের গরিষ্ঠতা রয়েছে কি না, সেটা বিধানসভাতেই প্রমাণ হবে।

কংগ্রেস-জেডিএসের ওই ১৩ বিদ্রোহী বিধায়ক এর পর রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করেন। বেরিয়ে এসে জানান, ইস্তফা দিয়েছেন মোট ১৪ জন। যার ফলে সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। স্পিকারের দফতর থেকে পরে জানানো হয়, পদত্যাগপত্র জমা পড়েছে মোট ১৩টি। তাতে আবার অঙ্ক পাল্টে যায়। জেডিএসের প্রবীণ নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া বলেন, ‘‘বল এখন স্পিকারের কোর্টে।’’

শাসক শিবির বিধায়ক কেনাবেচার কথা বললেও বিদ্রোহী বিধায়কদের অন্যতম, জেডিএসের এ এইচ বিশ্বনাথের দাবি, ‘‘সরকার বিধায়কদের মধ্যে সমন্বয় সাধনে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে চলতে পারেনি। জনগণের প্রত্যাশা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। আমরা সকলেই স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি। এর মধ্যে কোনও বিজেপির ব্যাপার নেই।’’

খাদের কিনারা থেকে সরকারকে বাঁচাতে কাল বেঙ্গালুরু ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। তাঁর অঙ্ক ভেস্তে যেতে পারে বিধায়ক কেনাবেচার খেলায় বা অন্য কারণে শাসক শিবির থেকে আরও ক’জন ইস্তফা দিলে। তাতে জাদুসংখ্যা আরও নামবে। এতে ক্ষমতা দখলের পথ খুলে যেতে পারে বিজেপির জন্য। আবার স্পিকার কোনও কারণে ১৩ জন বা তাঁদের কয়েক জনের ইস্তফা খারিজ করলে, কিংবা ঝুলিয়ে রাখলে, তত দিন গদিতে টিকে থাকতে পারেন কুমারস্বামী। কংগ্রেসের ৭৮, জেডিএসের ৩৭, বিএসপির ১ ও ২ নির্দলের সমর্থনে বিধানসভায় তাঁর শক্তি ছিল ১১৮। ১৩ জন চলে গেলে হাতে থাকবে ১০৫। বিজেপির হাতেও ১০৫। ফলে টক্কর এখন সমানে সমানে। কুমারস্বামীর হাতে বাড়তি তাস একটিই। স্পিকারের কাস্টিং ভোট।

কাল কী হবে, জানে না কর্নাটক!

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Karnataka JDS Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE