প্রত্যাশা মতোই ডিএমকে-র রাশ উঠল এম কে স্ট্যালিনের হাতে। ডিএমকে-র সাধারণ সভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসেবে অভিষেক হল তাঁর। করুণানিধির মৃত্যুর পরে দলীয় প্রধান হিসেবে স্ট্যালিনের দায়িত্বগ্রহণ ছিল সময়ের অপেক্ষা। দল থেকে বরখাস্ত, করুণার আর এক পুত্র আলাগিরি ফের গদি দখলের চেষ্টা করলেও ধোপে টেকেনি তাঁর দাবি।
জীবদ্দশাতেই উত্তরসূরি হিসেবে স্ট্যালিনকে মনোনীত করেছিলেন করুণানিধি। বাবার অসুস্থতার সময়ে কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্বও সামলাচ্ছিলেন স্ট্যালিন। দলের সাধারণ সচিব কে অনবাজ়হাগন সভাপতি পদে স্ট্যালিনের নাম ঘোষণা করেন। স্ট্যালিনকে শুভেচ্ছা জানান, রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। প্রসঙ্গত, ডিএমকে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলের চাবিকাঠি ছিল করুণানিধির হাতেই। এই প্রথম অন্য কেউ সেই পদে বহাল হলেন।
দলের নিরঙ্কুশ সমর্থন পেলেও গত কাল ফের একপ্রস্ত স্ট্যালিনের বিরোধিতা করেন দাদা আলাগিরি। তিনি বলেন, ‘কলাইনারের’ অনুপস্থিতিতে দলকে রক্ষা করা দরকার। তাঁকে ফেরানো না-হলে ফল ভুগতে হবে। মাদুরাই অঞ্চলে আলাগিরির কিছুটা প্রভাব রয়েছে। তাই আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শক্তি প্রদর্শনের জন্য সমর্থকদের নিয়ে মিছিলের আয়োজন করেছেন তিনি।
এ দিন দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন স্ট্যালিন। আদর্শে অবিচল থেকে বদলের ডাক দেন তিনি। মেরুকরণের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের শাসক দলকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার আর্জি জানান সমর্থকদের। রাজ্যের শাসক দল ‘এডিএমকে’-কে মেরুদণ্ডহীন আখ্যা দিয়ে তাদের গদিচ্যুত করারও ডাক দিয়েছেন নবনির্বাচিত ডিএমকে প্রধান। এ দিন বক্তৃতার সময়ে আবেগমথিত হয়ে পড়েন সমর্থকদের প্রিয় ‘থালাপাতি’। জানান, কোনও পদ নয়, তিনি স্বপ্ন দেখেন তামিলনাড়ুর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার। সে জন্য সমস্ত কর্মী-সমর্থকদের জোট বেঁধে লড়ার বার্তাও দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy