গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বোরখা না পরে জিনস কেন পরেছেন, এই অভিযোগ তুলে এক মহিলাকে হেনস্থা করে দোকান থেকে বার করে দেওয়া হল অসমে। গত সপ্তাহে ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের বিশ্বনাথ জেলায়। এই ঘটনায় নীতি পুলিশির অভিযোগে দোকানের মালিক এবং আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্বনাথ চরিয়ালির একটি মোবাইলের দোকানে ইয়ারফোন কিনতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, দোকান মালিক নুরুল আমিন তাঁকে জিনস পরা দেখে প্রথমে কটূক্তি করেন। বোরখা না পরে কেন জিনস পরেছেন, সেই প্রশ্ন তুলে মহিলাকে হেনস্থা করেন। শুধু তাই নয়, ইয়ারফোন বিক্রি করতে অস্বীকার করার পাশাপাশি তিনি মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে দোকান থেকে বার করে দেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মহিলার বাবাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে মহিলার বাবা বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন নুরুল। বোরখা না পরার জন্য মেয়েকে দোকান থেকে ধাক্কা মেয়ে বার করে দিয়েছেন। এই মানুষগুলি অসমে তালিবানি প্রথা চালু করতে চাইছেন। মহিলাদের জোর করে বোরখা এবং হিজাব পরতে বাধ্য করছেন।” তিনি জানান, অসমেই তাঁদের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। অসমের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তাঁরা। তাঁর মেয়ে বিসিএ নিয়ে পড়াশোনা করছে। অসমের সংস্কৃতি নিয়ে পড়াশোনা করেছে। কিন্তু তার পরেও কিছু মানুষ তাঁকে এ ভাবে বোরখা এবং হিজাব পরতে বাধ্য করছেন।
মহিলা বলেন, “যখন আমি ওই দোকানে গিয়েছিলাম, দোকানের মালিক বলেন, যদি আমি জিনস পরে দোকানে আসি তা হলে তার প্রভাব তাঁর পুত্রবধূর উপর পড়বে। কেন না তাঁর পুত্রবধূ বোরখা এবং হিজাব পরেন।” এর পরই তাঁকে হেনস্থা করে দোকান থেকে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ মহিলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy