প্রেমের ফাঁদ পাতা ছিল কেরল থেকে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান থেকে ভোপাল-দিল্লি। প্রথমে দর্শনে মধুর আভাস। কিঞ্চিৎ মেলামেশার পরেই বিয়ের প্রস্তাব। আর বিয়ে চুকলেই লক্ষ-লক্ষ টাকা আর গয়না নিয়ে পগারপার! এ ভাবে অন্তত ১০ জনকে সর্বস্বান্ত করে শেষে পুলিশের জালে বছর তেইশের নয়ডা-সুন্দরী মেঘা ভার্গব।
ঠিক যেন সিনেমার মতোই। সুবোধ ঘোষের কাহিনি অবলম্বনে তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’ কিংবা হালের বলিউডি ছবি ‘ডলি কি ডোলি’! ‘ঠগিনি’ সুধার তবু বাবার চিকিৎসার দায় ছিল। শেষে সে বাঁধাও পড়ে ভালবাসায়। কিন্তু মেঘা নির্বিকার। ১০ গোল দিয়েও।
অক্টোবরে প্রাক্তন স্ত্রী মেঘার নামে ১৫ লক্ষ টাকার গয়না লুটের অভিযোগ আনেন কোচির বাসিন্দা লরেন জাস্টিন। পুলিশ জানতে পারে, নয়ডায় দিদি-জামাইবাবুর সঙ্গে থাকে মেঘা। সেখান থেকেই কেরলে পাড়ি দেয় সে। দোসর মহেন্দ্র নামের এক যুবক। সে-ই ‘বিবাহযোগ্যের’ খোঁজ এনে দিত মেঘাকে।
সম্প্রতি মহেন্দ্রকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকেই মেঘার বাসস্থানের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত কাল গ্রেফতার হয়েছে মেঘার দিদি-জামাইবাবুও। মেঘার দাবি, চারটির বেশি বিয়েই করেনি সে। বিয়ে ভেঙে পালিয়েছে সম্পর্ক টেকেনি বলেই! আর লুট হওয়া টাকা-গয়না? পুলিশ খুঁজেই চলেছে।