বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করায় এক মহিলাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো করে লোপাট করার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসীর ঘটনা। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর ভাইপোকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বিবিজিটিএস মূর্তি জানিয়েছেন, মহিলার টুকরো করা দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে। তবে তাঁর মাথা এবং পা এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ। এই দুই দেহাংশের খোঁজ চালানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃতার নাম রচনা যাদব (৩৫)। তিনি মাহেওয়া গ্রামের বাসিন্দা। গত কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, মাহেওয়া পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জয় পটেলের সঙ্গে গত দু’বছর ধরে সম্পর্ক ছিল রচনার। অভিযোগ, সঞ্জয়কে নানা ভাবে ব্ল্যাকমেল করে এই সময়ের মধ্যে সঞ্জয়ের কাছে থেকে প্রচুর টাকা আদায় করেন। গত কয়েক মাস ধরে রচনাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু বিয়েতে রাজি হননি রচনা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন সঞ্জয়। তাই রচনাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ। ভাইপো সন্দীপ পটেল এবং তাঁর এক সঙ্গী দীপককে সঙ্গে নিয়ে রচনাকে খুন করেন বলে অভিযোগ। গত ৯ অগস্ট রাতে রচনাকে গাড়ি করে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার অছিলায় তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিন জন। তার পর তাঁর দেহ টুকরো করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে আসেন। দেহের কিছু অংশ এবং হাত উদ্ধার হয় কিশোরপুরার একটি কুয়োয়। মাথা এবং পা ফেলে দেন রায়বন নদীতে।