‘ভূত’ তাড়ানোর নামে এক মহিলাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কর্নাটকের শিবমোগায়। সোমবার রাতের ঘটনা। মৃতার নাম গীতাম্মা। এই ঘটনায় মহিলার পুত্র সঞ্জয়, আশা নামে এক গুনিন এবং তাঁর স্বামী সন্তোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মায়ের আচরণে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করেছিলেন সঞ্জয়। আর তা দেখেই তাঁর বিশ্বাস হয় মায়ের উপর ‘ভূত’ ভর করেছে। তার পরই ওই সঞ্জয় যোগাযোগ করেন আশা গুনিনের সঙ্গে। তিনি গীতাম্মাকে তাঁক ডেরায় নিয়ে আসতে পরামর্শ দেন সঞ্জয়কে। গুনিনের পরামর্শ মেনে গীতাম্মা তাঁর ছেলে সেই ডেরায় নিয়ে যান। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, গীতাম্মাকে দেখেই গুনিন দাবি করেন তাঁর উপর ‘ভূত’ ভর করেছে। তাঁর শরীরকে নিজের বশে করেছে সেই ‘ভূত’।
আরও পড়ুন:
তার পরই শুরু হয় ‘ভূত’ তাড়ানোর পালা। গুনিন আশা প্রথমে দু’টি লেবু নিয়ে আসেন। তার পর সেই লেবু গীতাম্মার মাথার চারপাশে বোলান। তার পর সেই লেবু দু’ভাগ করে গীতাম্মার মাথায় মাখানো হয়। অর্ধচেতন অবস্থায় থাকা গীতাম্মাকে তার পর একের পর এক চড় মারা হয়। গীতাম্মা চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর চুলের মুঠি ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে যান গুনিন। তার পর শুরু হয় লাঠিপেটা। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত গীতাম্মাকে লাঠিপেটা করা হয় বলে অভিযোগ। চার ঘণ্টা ধরে প্রৌঢ়াকে মারধর করার পর মৃত্যু হয় তাঁর। তার পরই গীতাম্মার দেহ ফেলে পালিয়ে যান আশা, তাঁর স্বামী সন্তোষ এবং গীতাম্মার ছেলে সঞ্জয়। স্থানীয়েরাই পুলিশে খবর দেন। তার পরই তল্লাশি চালিয়ে তিন জনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।