পটনায় ব্যবসায়ী গোপাল খেমকাকে হত্যায় অভিযুক্ত যুবক নিহত। মঙ্গলবার সকালে পটনাতেই পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই (এনকাউন্টার) হয় রাজা নামের ওই অভিযুক্তের। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। রাজার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পটনার মাল সালামি এলাকায় ঘাপটি মেরে রয়েছেন রাজা, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশ আসার খবর পেয়েই সতর্ক হয়ে যান অভিযুক্ত যুবক। ওই সূত্রের খবর, গ্রেফতারি এড়াতে পুলিশকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি। পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজার গোপন ডেরা থেকে একটি পিস্তল, কিছু কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের জন্য সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জনকে আটক এবং গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত উমেশ রাইও। রবিবার খেমকার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়া এক যুবককেও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর নাম রোশন কুমার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রোশন ব্যবসায়ীকে খেমকাকে খুন করতে উমেশকে নিয়োগ করেছিলেন। ঘাতক উমেশকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিলেন রাজা। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী খেমকা, যিনি বিজেপির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত— হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। তাই তদন্তে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পটনার অভিজাত এলাকা, গান্ধী ময়দানের সংলগ্ন পানাচে হোটেলের কাছে ‘টুইন টাওয়ার’ সোসাইটিতে থাকতেন খেমকা। শুক্রবার রাতে অন্যান্য দিনের মতোই কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, বাড়ির কাছে এসে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে গুলি করা হয়। গুলি করেই আততায়ী পালিয়ে যায়। লুটিয়ে পড়েন গোপাল। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই গোপালের মৃত্যু হয়। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল, আবাসন-সহ একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গোপাল।