বেঙ্গালুরুর হ্রদে ডুবে মৃত্যু হল ২১ বছরের তরুণীর। আর সাহানা নামে ওই তরুণীর বাবা রামমূর্তির দাবি, তাঁর সঙ্গে বাইকে চেপে যাওয়ার সময়ে জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। যদিও তরুণীর প্রেমিক নিতিন পাল্টা আঙুল তুলেছেন রামমূর্তির দিকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভিন্জাতে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি বলেই ডুবিয়ে খুন করেছেন বৃদ্ধ। প্রেমিকের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার বাবাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহানা কর্নাটকের হোসুরের কাছে হারোহাল্লির বাসিন্দা। সোমবার রাতে বাবার সঙ্গে হেব্বাগোড়ির হুসকুর হ্রদের ধার দিয়ে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন সাহানা। তাঁর বাবা রামমূর্তির দাবি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক নিয়ে জলে পড়ে যান তাঁরা। ওই দিন রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এই ঘটনা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রামমূর্তি সাঁতরে হ্রদের পাড়ে যান। তার পর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন:
যদিও নিতিনের পাল্টা দাবি, মেয়েকে রামমূর্তিই জলে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন। কারণ তাঁর সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তিনি। নিতিনের কথায়, ‘‘আমি নায়ডু সম্প্রদায়ের। আর সাহানা কুরুবা সম্প্রদায়ের। সে কারণে ওঁর বাবা আমাদের সম্পর্কের কথা শুনে রেগে গিয়েছিলেন। অন্য এক আত্মীয়ের সঙ্গে মেয়ের বিয়েও ঠিক করেছিলেন। সাহানা রাজি হননি।’’ নিতিনের আরও অভিযোগ, রবিবার রাতে নিজের এক বন্ধুর বাড়িতে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রামমূর্তি। তাঁর সামনেই মেয়েকে মারধরও করেছিলেন তিনি। নিতিনের মা সাহানার বাবাকে অনেক বোঝালেও লাভ হয়নি। নিতিনের অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় রামমূর্তিকে। পরে যদিও জামিন পেয়েছেন। তিনি জেরায় জানিয়েছেন, মেয়ের সম্পর্কের কথা শোনার পর থেকে ঘুমোতে পারেননি তিনি। তবে সেই রাতে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। যদিও নিতিন এই দাবি মানতে চাননি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।