Advertisement
E-Paper

২৮ দিন ধরে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা! ৫৬ লক্ষ টাকা হাতাল ‘সিবিআই অফিসার’

চলতি বছরের ১ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে ২৮ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ হন অর্চনা। তাঁকে বাধ্য করা হয় ৫৬ লক্ষ টাকা পাঠাতে। মোট পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৫ ১১:৪১

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। মহিলা ‘হ্যালো’ বলতেই ও পার থেকে বলা হয়, আর ২ ঘণ্টা সময়। তার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হবে তাঁর ফোন নম্বর। কারণ, অসাধু কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নম্বরটি। কী ভাবে সম্ভব সেটা? উপায় বা কী? প্রশ্ন করতেই আসে আশ্বাস। সেই শুরু। তার পর ২৮ দিনের জন্য ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ হলেন গাজিয়াবাদের ৫৫ বছর বয়সি মহিলা। খোয়ালেন প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা।

গত কয়েক মাসে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’র ফাঁদে পড়ে প্রচুর টাকা খুইয়েছেন অনেকে। প্রতারকেরা যাঁদের নিশানা করছে, তাঁদের বড় অংশই বয়স্ক অথবা স্মার্টফোন এবং সাইবার দুনিয়া সম্পর্কে অতটা অবহিত নন। গাজ়িয়াবাদের অর্চনা খের-ও তেমনই এক জন। বৈশালীতে থাকেন ওই মহিলা। কিছু দিন হল শিক্ষকতার চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। গত ১ এপ্রিল তিনি সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়েন। শেষমেশ তাঁকে ‘উদ্ধারে’ এগিয়ে এসেছে পুলিশ।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে ২৮ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ হন অর্চনা। তাঁকে বাধ্য করা হয় ৫৬ লক্ষ টাকা পাঠাতে। মোট পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে ফেলেছে তারা। তিনটি অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ়’ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি দু’টিও তাই করা হবে। আর পাঁচটি অ্যাকাউন্টের মালিকই ভারতের।

গত ১ মে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, গত ১ এপ্রিলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল অর্চনার কাছে। তাঁকে বলা হয়েছিল, টেলিকম রেগুলেটরি অথোরিটি থেকে ফোন করা হচ্ছে। কারণ, অর্চনার নম্বরটি ২ ঘণ্টা পরে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে কয়েক’টি জিনিস করতে হবে তাঁকে। মহিলা জানতে চান কী করতে হবে? সঙ্গে সঙ্গে ফোনটি চলে যায় আর এক জনের কাছে। সেই ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি সিবিআই অফিসার। এর পর আধার নম্বর চাওয়া হয়।

অর্চনা জানিয়েছেন, আধার নম্বর নেওয়ার পরে ‘সিবিআই অফিসার’ বলেন তাঁর নামে ১০০টি অ্যাকাউন্ট খুলে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে। শুনে আকাশ থেকে পড়েন মহিলা। ভয়ও পেয়ে যান। তিনি জানান, এখন বাড়িতে তিনি একা। পরে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। কিন্তু প্রতারকেরা আরও ভয় দেখায়। ওই ভাবে ২৮ দিন ধরে নানা ভাবে মহিলাকে ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ৩১৮ (৪), ৩৪০ (২), ২০৪, ৩০৮ (২), ৩৫১ (৪) ইত্যাদি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। চলছে প্রতারকদের খোঁজ।

Digital Arrest Ghaziabad Crime police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy