Advertisement
০২ মে ২০২৪

শ্লীলতাহানির নালিশ নেয়নি পুলিশ, দাবি

এ বার এক মহিলা তাঁর উপর হওয়া শ্লীলতাহানির মামলাকে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গুরুগ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার দাবি, শ্লীলতাহানির অভিযোগ না নিয়ে শুধু ডাকাতির অভিযোগ নেয় তারা। গুরুগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র অবশ্য আজ এক বিবৃতি জারি করে যাবতীয় অভিযোগ নাকচ করেছেন।

সংবাদ সংস্থা
গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:২২
Share: Save:

রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যা মামলায় তাদের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি নানা প্রশ্ন উঠেছে। আরও এক বার কাঠগড়ায় গুরুগ্রাম পুলিশ। এ বার এক মহিলা তাঁর উপর হওয়া শ্লীলতাহানির মামলাকে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গুরুগ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই মহিলার দাবি, শ্লীলতাহানির অভিযোগ না নিয়ে শুধু ডাকাতির অভিযোগ নেয় তারা। গুরুগ্রাম পুলিশের মুখপাত্র অবশ্য আজ এক বিবৃতি জারি করে যাবতীয় অভিযোগ নাকচ করেছেন।

ঘটনা বৃহস্পতিবারের। রাত আটটা নাগাদ গুরুগ্রামের শঙ্কর চকের অফিস থেকে বেরোন বছর তিরিশের ওই মহিলা এগজিকিউটিভ। তাঁর বাড়ি হিমাচলপ্রদেশের কাংড়ায়। কর্মসূত্রে গুরুগ্রামে থাকেন তিনি। হিরো হন্ডা চকে যাওয়ার জন্য ক্যাবের খোঁজে সে দিন রাতে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, সেই সময় একটি ট্যাক্সি হঠাৎ তাঁর সামনে দাঁড়ায়। ভিতরে দু’জন লোক বসেছিল। তিনি তাদের ট্যাক্সিরই যাত্রী ভাবেন। তাঁর কথায়, ‘‘অন্য দুই পুরুষ যাত্রীর প্রকৃত উদ্দেশ্য না বুঝেই আমি ওই ট্যাক্সিটায় উঠে পড়ি। ঝারসা চকের কাছে গাড়ির চালক-সহ তিন জন আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করে।’’ মহিলার দাবি, ওই তিন জন তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টাও করেছিল। তিনি চিৎকার জুড়লে তাঁর হাত আর পা বেঁধে দেওয়া হয়। মুখে কাপড়ও গুঁজে দেয় তারা। ওই সময় মোটরবাইক চেপে দুই পুলিশ কর্মী ওই এলাকায় হাজির হন। ওই দু’জনকে দেখেই লোকগুলো ভয় পেয়ে যায়। রাজীব চকের কাছে মহিলার মোবাইল ফোন আর ওয়ালেটটা কেড়ে নিয়ে তাঁকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।

মহিলা জানান, এক পথচারীর ফোনে তিনি নিজের স্বামীকে ঘটনার কথা জানান। স্বামী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দু’জনে মিলে তাঁরা সেক্টর-৪০ থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু মহিলার অভিযোগ, দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পরে পুলিশ এফআইআরে শ্লীলতাহানি আর ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি। উল্টে তাঁকে নাকি শ্লীলতাহানির প্রমাণ দেখানোর কথাও বলা হয়। গুরুগ্রাম পুলিশ প্রধানের মুখপাত্র মণীশ সেহগাল আজ অবশ্য দাবি করেছেন, পুলিশ কোনও কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে না। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, ওই মহিলা এফআইআর লেখানোর সময় শুধু ডাকাতির কথাই উল্লেখ করেছিলেন। শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের চেষ্টার কথা পুলিশ জানতই না। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE