প্রতীকী ছবি।
হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকলেন তরুণী। কী হয়েছে? থানার পুলিশকর্মীরা সবে প্রশ্ন করতে যাবেন, কিন্তু সেই সুযোগটাই দেননি তরুণী। তার আগেই তিনি ঝট করে ব্যাগ খুলে তাঁদের সামনে তুলে ধরেন। ব্যাগে উঁকি মারতেই পুলিশকর্মীরা চমকে ওঠেন।
কী ছিল ওই ব্যাগে? এক পুলিশকর্মী জানান, তরুণী ব্যাগ খুলতেই একটা কটূ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। কী আছে এতে? জিজ্ঞাসা করায় তরুণী জানান, ওতে পাঁচ মাসের একটি ভ্রূণ রয়েছে। আর দাবি করেন, ভ্রূণটা তাঁরই। উত্তরপ্রদেশের হাতরসের ঘটনা।
তরুণী পুলিশকে জানান, মাস ছয়েক আগে রান্নার জন্য জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন। তখন ওই জঙ্গলেই এক ব্যক্তি মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। কাউকে বিষয়টি জানালে তরুণী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি। তাই ভয়ে আর কাউকেই কিছু জানাননি ওই তরুণী। কিন্তু কিছু দিন যেতেই বুঝতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তখন গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানান। কিন্তু তাতেও রক্ষা পাননি।
আরও পড়ুন: অলওয়ারে গণপিটুনির ঘটনায় এবার নাম জড়াল বিজেপি বিধায়কের
তরুণীর অভিযোগ, বিষয়টা জানাজানি হয়ে গিয়েছে সেটা টের পেয়ে ওই ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে এসে মারধর করে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে গর্ভপাতের ওষুধ খাইয়ে দেয়। তার পর সেখান থেকে চলে যায় সে। যাওয়ার সময় ফের প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে যায়। তরুণীর দাবি, গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ার পরই প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়ে গর্ভপাত হয়ে যায়। সেই ভ্রূণটিকেই একটি প্যাকেটে ভরে রাখেন প্রমাণ হিসেবে দেখানোর জন্য।তার পরই সেটা নিয়ে সোজা হাজির হন হাসানপুর থানায়।
থানার আধিকারিক এস সি গৌতম বলেন, “আমরা একটা মামলা দায়ের করেছি। তরুণী এবং ভ্রূণের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, চিকিৎসকের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তবে চিকিৎসক এ কে ভারু তাদের জানিয়েছেন, ভ্রূণ পাঁচ-ছয় মাসের হয়ে গেলে গর্ভপাতের জন্য অস্ত্রোপচারের সাহায্য নিতে হয়। ওই পর্যায়ে কোনও ওষুধের মাধ্যমে গর্ভপাতের কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। গৌতম বলেন, “মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হবে।”
আরও পড়ুন: গুড়াপের দুঃস্বপ্ন ফেরাল বিহার, ধর্ষিতার দেহের খোঁজে মাটি খুঁড়ছে পুলিশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy