Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৪
Crime

Bride: বাস্তবের ‘ডলি’! দু’বছরে সাত বিয়ে, গ্যাং তৈরি করে স্বামীদের লুঠ করতেন নববধূ

পাত্রী ঊর্মিলা আহারিবার। তাঁর ইশারাতেই গোটা গ্যাং পরিচালিত হত। বয়স ২৮। অষ্টম শ্রেণি পাশ।

ছিনতাইবাজ নববধূ।

ছিনতাইবাজ নববধূ।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:১৭
Share: Save:

এ যেন বাস্তবের ‘ডলি কি ডোলি’! বিয়ে করে টাকা, গয়না হাতিয়ে নেওয়াটাই তাঁর পেশা ছিল। এর জন্য তৈরি করেছিলেন একটি গ্যাং। যাঁরা পাত্রপক্ষের কাছে নিজেদের পাত্রীর বাবা, মা, দাদা হিসেবেই পরিচয় দিতেন। ঠাটবাট, বেশভূষায় কোনও ভাবেই বোঝার উপায় ছিল না যে এটা বড়সড় একটা চক্র।

পাত্রী ঊর্মিলা আহারিবার। তাঁর ইশারাতেই গোটা গ্যাং পরিচালিত হত। বয়স ২৮। অষ্টম শ্রেণি পাশ। মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের ধনবন্তপুরের বাসিন্দা। ২০ বছর বয়সেই অজয় আহিরবারের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় ঊর্মিলার। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় অজয়ের। আচমকা স্বামীকে হারিয়ে অথৈ জলে পড়েন ঊর্মিলা। বাপেরবাড়ি চলে আসেন তিনি। জামাকাপড় সেলাই করে নিজের খরচ চালাতেন। এই সময়ই ভাগচন্দ নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ওই যুবক রাজস্থানের বাসিন্দা। প্রতিবেশী অর্চনা বর্মণের মাধ্যমে এর পর শ্যাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গেও পরিচয় হয় ঊর্মিলার। তাঁদের দলে অমরসিংহ পটেল নামে এক ব্যক্তিও যোগ দেন। প্রত্যেকেরই টাকার প্রয়োজন ছিল। ফলে টাকা হাতানোর জন্য একটি দল তৈরি করেন তাঁরা। ঊর্মিলার বয়স যে হেতু কম, তাই তাঁকেই হাতিয়ার করে লুঠের ব্যবসায় নামে দলটি।

যাঁদের বিয়ে হয়নি বয়স বেশি এমন পুরুষদের খুঁজে বার করতেন তাঁরা। তার পর ঊর্মিলাকে পাত্রী সাজিয়ে, বাকি সদস্যরা ঊর্মিলার আত্মীয় সেজে পাত্রের বাড়িতে হাজির হতেন। ঊর্মিলার প্রথম শিকার ছিলেন রাজস্থানের এক ব্যক্তি। বিয়ের চার মাসের পর সুযোগ বুঝে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং গয়না নিয়ে চম্পট দেন ঊর্মিলা। নতুন নতুন শিকার জোগাড়ের কাজ ছিল শ্যামের। তাঁর মাধ্যমেই মধ্যপ্রদেশের সাগরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যেই ২২ হাজার টাকা, গয়না নিয়ে উধাও। এর মধ্যপ্রদেশেরই দমোহতে তৃতীয় বিয়ে করেন। বিয়েতে পাওয়া ১৭ হাজার টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেন ঊর্মিলা। চতুর্থ বিয়ে করেন রাজস্থানের রাজাখেড়ায়। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বিয়ে করেন রাজস্থানেরই ধৌলপুর এবং জয়পুরে।

এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারি জবলপুরে বছর একচল্লিশের দশরথ পটেলকে বিয়ে করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েন ঊর্মিলা-সহ পুরো গ্যাং। মন্দিরে দশরথের সঙ্গে বিয়ে করেন ঊর্মিলা। তার কিছু ক্ষণ পরই নগদ টাকা এবং গয়না নিয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি এ ক্ষেত্রে। প্রথমে ধরা পড়েন ঊর্মিলার প্রতিবেশী অর্চনা। তাঁর সূত্র ধরেই এক এক করে ঊর্মিলা-সহ গোটা দলটিকে ধরেছে পুলিশ।

২০১৫ সালের হিন্দি ছবি ‘ডলি কি ডোলি’-তে ডলির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সোনম কূপর। তিনি বিয়ে এক এক জনকে বিয়ে করতেন আর বিয়ের রাতেই টাকা, গয়না লুঠ করে পালাতেন। ঠিক সেই কায়দাতেই স্বামীদের লুঠতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়েন ঊর্মিলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Bride Jabalpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE