Advertisement
E-Paper

‘সর্পদোষ’ কাটাতে শিশুকন্যাকে হত্যা, খুনের চেষ্টা স্বামীকেও! মহিলাকে ফাঁসির সাজা দিল কোর্ট

সম্প্রতি আদালত অভিযুক্ত তরুণীকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’। অভিযুক্তের স্বামীর বক্তব্য, স্ত্রীর মাথার ঠিক নেই।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৪৪

জ্যোতিষী বলেছিলেন ‘সর্পদোষ’ কাটাতে পারলে ভাগ্য বদলে যাবে। সেই পরামর্শ মেনে নিজের সাত মাসের শিশুকন্যাকে ‘বলি’ দিয়েছিলেন তেলঙ্গানার তরুণী। বেশ কয়েক মাস জেল খেটে জামিনও পেয়েছিলেন। তার পরে স্বামীকে বাটখারা দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করার চেষ্টা করেন। ফের ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সম্প্রতি তেলঙ্গানার সূর্যপেট এলাকার একটি আদালত ওই তরুণীকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’।

২০২১ সালে তেলঙ্গানার বাসিন্দা বি ভারতী ওরফে লাস্যকে শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ মোতাবেক, নিজের কন্যাকে খাটে শুইয়ে পুজো করছিলেন ভারতী। হঠাৎই ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুকন্যার গলা এবং জিভ কেটে দেন তিনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাক্ষ্য দেওয়ার পর আদালত ওই তরুণীকে জেলে পাঠায়। খুনের মামলায় চার্জশিট গঠনের আগেই জামিনে ছাড়া পান তিনি। ফের ফিরে আসেন শ্বশুরবাড়িতে।

২০২৩ সালে স্বামী বি কৃষ্ণকে বাটখারা দিয়ে মাথায় মেরে খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে ভারতীর বিরুদ্ধে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এত দিন জেলেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে নিম্ন আদালত। স্বামীর বক্তব্য, ভারতীর মাথার ঠিক নেই। এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে বিষয়টি জানানোর পর ভারতীকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। কিন্তু সেই ওষুধ ভারতী খেতেন না বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে পড়ার সময় থেকে ভারতী এবং কৃষ্ণের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু কৃষ্ণের পরিবার আর্থিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় ভারতীর পরিবার অন্যত্র তাঁর বিয়ে দেয়। পরে যদিও সেই বিয়ে ভেঙে যায়। কৃষ্ণকে বিয়ে করেন ভারতী। কিন্তু প্রথম বিয়ের কথা ভুলতে পারেননি তিনি। মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন। সেই সময় থেকে জ্যোতিষ এবং তন্ত্রবিদ্যার প্রতি ভারতী দুর্বল হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন।

Telangana Murder Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy