প্রতীকী ছবি।
আগামী বছর মে পর্যন্ত অপেক্ষা কেন? এ বছর নভেম্বরেই ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি’ (এনডিএ)-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় মেয়েদের বসতে দেওয়া হোক। আজ কেন্দ্রকে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, লিঙ্গ-সাম্যের বিষয় জড়িয়ে থাকায় বিষয়টি ফেলে রাখা যায় না।
দেশের সেনাবাহিনীতে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সওয়াল করে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী কুশ কালরা। লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। গত অগস্ট মাসে আদালত অন্তর্বর্তী রায় দিয়েছিল যে এনডিএ-র প্রবেশিকায় এত দিন মেয়েদের বসতে না দিয়ে সেনা আসলে লিঙ্গবৈষম্যকেই সমর্থন করেছে। কেন্দ্র ও সেনাবাহিনীকে এ বিষয়ে নিজেদের মনোভাব বদলানোর কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট।
তারই প্রেক্ষিতে ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্যা ভাটি জানান, এনডিএ-তে স্থায়ী কমিশন আধিকারিক হিসেবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে বিষয়টি বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দেয় কোর্ট। পাশাপাশি পরিকাঠামোগত প্রস্তুতির জন্য অন্তত এ বছর যাতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা না-হয়, তার জন্যে সে দিন আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা।
বছরে দু’বার করে এনডিএ-র প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়। আগামী পরীক্ষা ২৪ নভেম্বর হওয়ার কথা। গত কাল কেন্দ্র কোর্টে হলফনামা জমা করে জানায়, আগামী বছর মে থেকে এনডিএ পরীক্ষায় মেয়েদের বসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। আজ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘‘২০২১ সালের নভেম্বর থেকেই মেয়েদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া উচিত। এক বছর তা পিছিয়ে দেওয়া যায় না। শারীরিক সক্ষমতার মাপকাঠি কী হবে সে বিষয়ে দ্রুত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হোক। নভেম্বরের পরীক্ষার জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা দিক ইউপিএসসি।’’ কোর্টের মতে, মেয়েরা আশায় বুক বেঁধে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের নিরাশ করা যায় না। বিশেষত এর সঙ্গে লিঙ্গ-সাম্যের বিষয়টিও জড়িত। আজ আদালত আরও জানিয়েছে, দেশ জুড়ে সেনা স্কুল ও কলেজগুলিতে মেয়েদের পড়াশোনার বিষয়টিও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তা ফেলে রাখলে চলবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy