বিমান পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দ্রুত উঠে আসছে ভারত। দেশে নতুন বিমানবন্দর তৈরি হওয়ার ফলে বাড়ছে অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উড়ানের যাত্রীসংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে দেশের বিমান পরিবহণ নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ)-র কাজের পরিসরও বাড়ছে। কিন্তু সূত্রের খবর, কর্মীসংখ্যার ঘাটতিতে ভুগছে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। প্রসঙ্গত, দেশের বিমান পরিবহণের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ইত্যাদি সব কিছুই নিয়ন্ত্রণকরে ডিজিসিএ।
গত জুলাই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংস্থায় ১০৬৩টি কারিগরি বিভাগের শূন্যপদের মধ্যে ৫৫৩টি পূরণ হয়েছে। এ ছাড়াও, সংস্থায় ৪২৯৫ জন কর্মী এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার-এর দায়িত্ব সামলান। ওই ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ ছাড়াও সেফটি ইনস্পেক্টর পদেও কর্মী প্রয়োজন। আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন সংস্থার ধাঁচে দক্ষ কর্মীদের সংস্থার প্রতি আকৃষ্ট করার পাশাপাশি, নিয়মিত কর্মীদের উন্নতপ্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি উঠেছে সংস্থার অভ্যন্তরেই।
একটি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেশের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের গুরুত্ব বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান দুর্ঘটনার পর ডিজিসিএ-র কর্মীর অভাবেরপ্রসঙ্গও উঠেছিল।
বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের খবর, ভারত ক্রমশ এই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে উপরের তালিকায় উঠছে। যাত্রী এবং উড়ানের সংখ্যা বাড়ায় বিমান সংস্থাগুলির পরিষেবা এবং যাত্রী সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্মের উপরে নজরদারি ছাড়াও উড়ান পরিবহণ ও নিয়ন্ত্রণ (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল) ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে দক্ষ কর্মী এবং আধিকারিকের চাহিদাও বাড়ছে।প্রসঙ্গত, বছরে যাত্রী পরিবহণের নিরিখে সম্প্রতি পৃথিবীর বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের বাজার হিসেবে প্রথম পাঁচে উঠে এসেছে ভারত। আমেরিকা, চিন, ইংল্যান্ড, স্পেনের পরেই রয়েছে এ দেশের স্থান। বছরে ২১ কোটির বেশি যাত্রী ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরদিয়ে যাতায়াত করেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)