ফাইল চিত্র
ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী-সমর্থক। শনিবারই ত্রিপুরায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে দলের যুবনেতাদের উপর আক্রমণের অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। তার পর ফের সোমবার সকালে খোয়াইতে দলীর কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে, এমনটাই দাবি জোড়াফুল শিবিরের। তৃণমূলে যোগ দিতে আসা কর্মীদের উপর খোয়াইতে আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে দলের তরফে। ঘটনায় কয়েক জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে তৃণমূল।
সোমবার তৃণমূলের তরফে একটি যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল ত্রিপুরায়। ওই কর্মসূচিতে হাজির থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে আসছিলেন কয়েক জন এসএফআই ছাত্রনেতা। সেই সময়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে দাবি তৃণমূলের। বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সূত্রের খবর, শনিবারই এই ছাত্রনেতারা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তখন থেকেই তাঁদের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ত্রিপুরা : খোয়াইতে ফের হামলা। তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে রবিবার দেখা করেছিল বাম ছাত্রসংগঠক সম্রাট মোদক। তিরিশজনের যোগদানের কথা। আজ সকালে সম্রাটকে ঘিরে ধরে মারধর করেছে বিজেপি। গুন্ডারাজ ভীত। লাগাতার হামলা চলছে। এইভাবে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 9, 2021
বাংলায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটারে লেখেন, ‘খোয়াইতে ফের হামলা। তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে রবিবার দেখা করেছিল বাম ছাত্রসংগঠক সম্রাট মোদক। তিরিশজনের যোগদানের কথা। আজ সকালে সম্রাটকে ঘিরে ধরে মারধর করেছে বিজেপি। গুন্ডারাজ ভীত। লাগাতার হামলা চলছে। এইভাবে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না।’
শনিবারই ত্রিপুরায় হামলা চালানো হয় তৃণমূলের যুবনেতা সুদীপ রাহা, যুবনেত্রী জয়া দত্তদের উপর। সেই হামলার পিছনে বিজেপি ছিল বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। পুলিশি পাহারায় তাঁদের আগরতলা নিয়ে আসার পথে খোয়াইতে আবার হামলা চালানো হয় বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিংহ। আহত হন তিনি নিজেও। সেই খোয়াইতেই রবিবার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক এবং দুই আইনজীবীর গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করে জোড়াফুল শিবির।
শনিবারের ঘটনা নিয়ে আগে থেকেই উত্তপ্ত ত্রিপুরা। রবিবারই ত্রিপুরা এসে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক। সেই সঙ্গে তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে তিন দিন করে ত্রিপুরা আসবেন। এই আবহে সোমবার ফের দলীয় কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy