গত বছর কাঁওয়ার যাত্রাকালে পথের ধারের দোকান ও ধাবা মালিকদের নাম ও ধর্মীয় পরিচয় জানানো বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বছর সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে উদ্দেশ্যপূরণের পথে হাঁটতে চাইছে যোগী সরকার। তা করতে চাইছে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে।
উত্তরপ্রদেশের ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএসডিএ)এক নির্দেশ জারি করে বলেছে, কাঁওয়ার যাত্রা যে পথ ধরে যাবে, সেই রাস্তার ধারের দোকান এবং ধাবাগুলি যেন তাদের সাইনবোর্ডের পাশে সরকারের দেওয়া কিউআর কোড লাগিয়ে রাখে। নতুন কিউআর কোডের মাধ্যমে খাবার বা পরিষেবা নিয়ে মতামত জানাতে বা অভিযোগ করা যাবে, এমনকি ছবি আপলোড করে প্রমাণও দেওয়া যাবে। তবে, ওই কিউআর কোডের মাধ্যমে মালিকের নাম এবং সেই সূত্রে তাঁর ধর্মওপ্রকাশ পায়।
এফএসডিএ-র বিভাগের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘যাঁরা দোকান ও ধাবার মালিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাঁরা বিভাগীয় একটি ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করে মালিকদের পরিচয় জানতে পারবেন।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগীয় এক আধিকারিক বলেন, “দোকানদারদের নাম দোকানের সাইনবোর্ডে উল্লেখ করতে বাধ্য করার কোনও নিয়ম নেই। সুপ্রিম কোর্টও ব্যক্তিগত পরিচয় প্রকাশের বিরুদ্ধে।’’ তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি দোকান ও রেস্তরাঁর একটি রেজিস্টার্ড নাম ও নম্বর থাকে, তাদের প্রত্যেককে একটি কিউআর কোড দেওয়া হচ্ছে, যা বোর্ডে ছাপানো বাধ্যতামূলক।
প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে আয়োজিত মাসব্যাপী কাঁওয়ার যাত্রায় তীর্থযাত্রীরা দীর্ঘ পথ হেঁটে গঙ্গাজল সংগ্রহ করেন এবং তা শিবমন্দিরে অর্পণ করেন। এই যাত্রাপথগুলি উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)