Advertisement
১০ মে ২০২৪
Yogi Adityanath

Yogi Adityanath: লক্ষ কোটি ডলারের লক্ষ্য যোগীর

আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন যোগী। তিনি জানান, দলবদ্ধ ভাবে কাজ ও দফতরগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা সাফল্য ডেকে আনতে পারে। বলেন, ‘‘লক্ষ্য হবে, এক লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হওয়ার।’’

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২ ০৮:১২
Share: Save:

প্রথম ইনিংসে কার্যত রক্ষণেই বেশি মন দিয়েছিলেন। এ বার দ্বিতীয় ইনিংসের গোড়া থেকেই চালিয়ে খেলার ইঙ্গিত দিলেন যোগী আদিত্যনাথ। আজ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের পরেই উত্তরপ্রদেশকে ১ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন ক্যাপ্টেন যোগী।

এক জন নেতা কতটা ভাল, তা নির্ভর করে সেই দলের উপরে। তাই দ্বিতীয় বার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা অর্জন করেই ছেঁটে ফেলেছেন গত জমানার দিল্লি ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতাদের। নতুন করে দল সাজানোর লক্ষ্যে জিতেও মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে মথুরার বিধায়ক শ্রীকান্ত শর্মাকে। মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি ইলাহাবাদ পশ্চিমের বিধায়ক সিদ্ধার্থনাথ সিংহের। ওই দুই নেতাই অরুণ জেটলি ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং দীর্ঘ দিন কেন্দ্রীয় রাজনীতি করে পাঁচ বছর আগে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন লড়তে গিয়েছিলেন। যোগী শিবিরের কথায়, ‘‘সে সময়ে বাবা দুর্বল ছিলেন। যে যা বলেছেন, তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু এ বারে ছবিটি আলাদা। দিল্লি থেকে উড়ে এসে যাঁরাই প্রথম বার মন্ত্রী হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের নাম কাটা গিয়েছে।’’ মোট ২২ জনকে এ বার বাদ দিয়েছেন যোগী।

এঁদের মতোই উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কেশবপ্রসাদ মৌর্যকে ছেঁটে ফেলতে তৎপর ছিলেন যোগী। সিরাথু থেকে কেশবের হার সেই সুযোগও করে দেয়। কারণ যোগী খুব ভাল করেই জানেন, রাজ্যে যদি কোনও জনপ্রিয় নেতা থেকে থাকেন যাঁর নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে তিনি হলেন কেশব। যিনি এ যাত্রায় হেরে গেলেও আগামী দিনে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন যোগীকে। তাই এ বারেই কেশব-কাঁটা উপড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেশবকে সরালে রাজ্যের ওবিসি সমাজের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে— এই যুক্তিতে কোনও ভাবেই কেশবকে হারাতে রাজি ছিলেন না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই তাঁকে যোগীর আপত্তি সত্ত্বেও উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। কেশবের সঙ্গেই আর এক উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মাকে সরানোর দাবি তোলেন যোগী। সেই দাবি মেনে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে ব্রাহ্মণ সমাজের ব্রজেশ পাঠককে। ঘরোয়া রাজনীতিতে যিনি যোগী ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

জাতপাতের ক্ষেত্রে এ বারে ঠাকুর-ব্রাহ্মণদের সঙ্গে ওবিসি সমাজের প্রতিনিধিত্বের বিশেষ ভাবে খেয়াল রেখেছেন যোগী। এ বারের ভোটে অন্তত চার জন মন্ত্রী ও একাধিক বিধায়ককে হারিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির কুর্মী সমাজের প্রার্থীরা। যোগী শিবিরের মতে, যে ভাবে কুর্মী প্রার্থীরা জিতেছেন তা থেকেই স্পষ্ট কুর্মী সমাজের ভোট দল পায়নি। সেই ক্ষোভ দূর করতেই এ বার চার জন কুর্মী বিধায়ককে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন স্বতন্ত্র দেও সিংহ। যিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতিও বটে। গোড়া থেকেই কেশবের পরিবর্তে মির্জ়াপুর এলাকার স্বতন্ত্র দেওকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করার প্রশ্নে সওয়াল করে আসছিলেন যোগী। এ ছাড়া বুন্দেলখণ্ড থেকে আশিস পটলে, রাকেশ সাচনকে কানপুর ও সঞ্জয় গাঙ্গওয়ারকে রোহিলখণ্ড থেকে মন্ত্রী করেছেন যোগী। রাজ্যের চার প্রান্তে পরিকল্পিত ভাবে চার ঘনিষ্ঠকে মন্ত্রী করার পিছনে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে যোগীর। রাজ্যের আট জন দলিত বিধায়ক এ বার মন্ত্রী হয়েছেন। পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে বেবি রানি মৌর্যকে। জাটভ ওই মহিলাকে সামনে রেখে দলিত মহিলা সমাজের ভোট টানার কৌশল নিয়েছে দল।

আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে আমলাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন যোগী। তিনি জানান, দলবদ্ধ ভাবে কাজ ও দফতরগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা সাফল্য ডেকে আনতে পারে। বলেন, ‘‘লক্ষ্য হবে, এক লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হওয়ার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Yogi Adityanath Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE