প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মানুষখেকো নেকড়েকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে উত্তরপ্রদেশের বহরাইচের। চারটে নেকড়ে ধরা পড়লেও এখনও দু’টি তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। টোপ সাজিয়েও বাগে আনা যায়নি। এ বার সেই মানুষখেকো নেকড়েকে ‘দেখামাত্রই গুলি’র নির্দেশ দিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
জুলাই মাসের ১৭ তারিখ থেকে মানুষখেকো নেকড়ের হামলায় এখনও পর্যন্ত আটটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুধু তা-ই নয়, হামলায় জখম হয়েছেন অনেকেই। এ বার সেই মানুষখেকো নেকড়েদের জব্দ করতে বহরাইচ জেলা প্রশাসন ‘অপারেশন ভেড়িয়া’ প্রকল্পের অধীনে কাজ শুরু করেছে।
সোমবার রাতে মানুষখেকো নেকড়ের কবলে পড়েছিল পাঁচ বছরের এক শিশু। তবে তার মায়ের সাহসিকতার কাছে হার মানে নেকড়েটি। বহরাইচের হার্ডি এলাকার শিশু পারস কুমারের উপর রাতের অন্ধকারে হামলা করে জন্তুটি। কামড়ে ধরে গলা। পারসের মা ওই নেকড়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। টিপে ধরেন হিংস্র জন্তুর গলা। অগত্যা শিশুটিকে ফেলে পালায় সেটি। পারস বেঁচে গেলেও দু’বছরের অঞ্জলির ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। সোমবার ভোরে মায়ের সঙ্গে বাড়ির উঠোনে ঘুমিয়ে ছিল সে। শিয়াল এসে টেনে নিয়ে গিয়েছে। আর খোঁজ মেলেনি। গত ৫০ দিনে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে আট জনকে হত্যা করেছে নেকড়ে। তার মধ্যে সাত জন শিশু এবং এক জন মহিলা।
উত্তরপ্রদেশের বন দফতর দাবি করেছে, মূলত ছ’টি নেকড়েই প্রথম থেকে নরহত্যা করছে। তাদের মধ্যে চারটি ধরা পড়েছে। বাকি দু’টি এখনও অধরা। উপায়ন্তর না পেয়ে তাই ‘দেখামাত্রই গুলি চালানো’র নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy