কর্তব্যরত মহিলা সিআইএসএফ আধিকারিককে চড় মারার অভিযোগে এক তরুণীকে পুণে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
কর্তব্যরত মহিলা সিআইএসএফ আধিকারিককে চড় মারার অভিযোগে এক তরুণীকে পুণে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার রাতে তাঁকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করার পর সোমবার আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম গুঞ্জন আগরওয়াল। বিমান নগর থানার সাব ইনস্পেক্টর বিবি ওয়াকেড়ে জানান, পুণের হিঞ্জেওয়াড়ি এলাকায় একটি আইটি সংস্থায় কাজ করেন ওই তরুণী। রবিবার একটি আ্যপ-ক্যাবে করে বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। ওই ক্যাব চালকের অভিযোগ, ভাড়া না দিয়েই বিমানবন্দরের ‘ডিপার্চার’ এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তার পর সরাসরি ‘ডিপার্চার’ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। ক্যাব-চালক এর পর সেখানে উপস্থিত এক মহিলা সিআইএসএফ আধিকারিকের কাছে বিষয়টি জানান। তাঁর অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামার পর ভাড়া চাইতেই গুঞ্জন তাঁকে একটি ২০০০ হাজার টাকার নোট দেন। তাঁর কাছে খুচরো নেই জানানোয় সেই নোটটি ফেরত নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে যান ওই তরুণী।
ক্যাব-চালকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ওই আধিকারিক এ বার লাইনে দাঁড়ানো গুঞ্জনের কাছে যান। বিষয়টি জানতে চান। গুঞ্জন জানান, খুজরো না থাকার কারণে তিনি ভাড়া দিতে পারেননি। ওয়াকেড়ের দাবি, ওই আধিকারিক ২০০০ টাকা খুচরো করে দিতে চান। এবং সেই টাকায় ভাড়া মেটানোর জন্য অনুরোধ করেন গুঞ্জনকে। কিন্তু তিনি উল্টে কর্তব্যরত মহিলা সিআইএসএফ আধিকারিকের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন। চিৎকার করেন এবং শেষমেশ সপাটে চড়ও কষান। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমি ওঁকে ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করি। খুচরোর ব্যবস্থাও করে দিই। কিন্তু পরিবর্তে উনি আমার উপর চিৎকার করেন। আচমকা আমাকে থাপ্পড় মারেন।”
এর পর, ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সিআইএসএফ কর্মীরা গুঞ্জনকে ‘ডিপার্চার’ লাইন থেকে বার করে দেন। খবর দেওয়া হয় বিমাননগর পুলিশে। প্রথমে সাসুন হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এর পর সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুঞ্জন আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি কোনও কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করে সব কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন। এক পুলিশ কর্তা বলেন, “গুঞ্জন আদালতের বাইরে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর বাবা এবং মা খবর পেয়ে কলকাতা থেকে আসেন এবং তাঁর কিছু সহকর্মীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’’
কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিককে হেনন্থার অভিযোগে গুঞ্জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে, আদালত তাঁর জামিনের অনুমতি দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy