এ বছরের গোড়াতেই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করায় রাজ্যের কিশোরী অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়েছিল রাজ্যে। ক্ষমা চাইতে হয়েছিল জাতীয় পুরস্কার জয়ী জাইরা ওয়াসিমকে। কিন্তু এয়ার বিস্তারার বিমানে কাশ্মীরি কিশোরী জাইরার সঙ্গে যা ঘটেছে, তার পরে তাঁর পাশে একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বেশির ভাগ মানুষ। সরব ভারতের অন্যান্য প্রান্তও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই প্রতিবাদের ঝড় জানান দিচ্ছে জাইরার অভিজ্ঞতা কোনও মতেই সমর্থন করা যায় না।
মুখ খুলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘মেয়েদের বিরুদ্ধে যে কোনও হেনস্থা অথবা অপরাধের দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত। দুই মেয়ের মা হিসেবে বলছি, জাইরার সঙ্গে যা হয়েছে তাতে আমি ব্যথিত। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়া ব্যবস্থা নেবেন।’’ সরব হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। তিনি লিখেছেন, ‘‘আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমায় পায়ে পড়ে গেল, আর আমি ক্ষমা করে দিলাম— এমন উদ্ভট কথা যেন না বলা হয়।’’
শনিবার রাতে দিল্লি থেকে মুম্বইগামী বিস্তারার বিমানে সহযাত্রীর অশালীন আচরণে তীব্র বিরক্ত ‘দঙ্গল’ অভিনেত্রী বছর সতেরোর জাইরা। ঘটনার জন্য তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিস্তারা কর্তৃপক্ষ। তাতে ক্ষোভ কমছে না। ঘটনাটিকে ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে মহারাষ্ট্রের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকার বলেছেন, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) এর তদন্ত করুক। বিস্তারা কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে হবে । বিজয়ার আক্ষেপ, ‘‘সহযাত্রীরাও সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না! বিমানকর্মীরাই বা কেন সাহায্য করেননি? তারও তদন্ত দরকার।’’ সরব দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালও। রবিবার জাইরার হোটেলের ঘরে মহিলা পুলিশ অফিসারকে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় মুম্বই পুলিশ। ঘটনার তদন্ত-রিপোর্ট ডিজিসিএ-র কাছে জমাও দিয়েছে বিস্তারা।