ক্রিকেট মাঠে যেমন ঘাম ঝরিয়েছেন, এ বার রাজনীতির ময়দানে নেমেও তেমনই ঘাম ঝরাতে চান মহম্মদ কাইফ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী হওয়ার পর বলছেন, “দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হতে চলেছে। আশা করি প্রথম ইনিংসের মতোই কঠিন হবে।”
এক সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত যোদ্ধা শনিবার রাতে মোবাইলে বললেন, “আমার সঙ্গে এই ব্যাপারে আগেই কথা হয়েছিল হাই কম্যান্ডের। তাই প্রস্তাবটা পেয়ে ভাবিনি। আমার পরিবার বরাবরই কংগ্রেসপন্থী। তাই তাঁদের সমর্থনও ছিল। হাম পসিনা বাহানেওয়ালা আদমি, ইঁয়াহা ভি পসিনা বহায়েঙ্গে (আমি ঘাম ঝরানোর লোক, এখানেও ঘাম ঝরাব)।” তাঁর ক্রিকেট জীবনের কি এখানেই ইতি? সদ্য বোর্ডের কর্পোরেট ক্রিকেট খেলে আসা কাইফ বললেন, “ক্রিকেট চলবে। রাজনীতিও। কোনওটাতেই ফাঁকি মারব না।”
উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর আসনে প্রার্থী হচ্ছেন কাইফ, যেখানে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ টানা তিন বার প্রার্থী হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, ভি পি সিংহদের মতো হেভিওয়েটরাও এই কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন। এটা কাইফেরও অজানা নয় এবং এই সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “এমন ঐতিহাসিক কেন্দ্র থেকে রাজনৈতিক জীবন শুরুর রোমাঞ্চই আলাদা। দায়িত্বও বেশি।”
মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে দেখেই যে তিনি এই জগতে আসার প্রেরণা পান, তা জানিয়ে ভারতের জার্সিতে ছ’বছর খেলা কাইফ বলেন, “আজহার ভাইয়ের রাজনীতিতে আসা আমাকে প্রেরণা জুগিয়েছেই। তবে এখনও এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। ভোটে জিতে সংসদে গিয়ে ওঁর সঙ্গে দেখা করে কথা বলার ইচ্ছা রয়েছে।”