পশ্চিম এশিয়ায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষমতা দখলের জঙ্গি-যুদ্ধে এ দেশের তরুণদের সামিল করতে এ বার তৎপর ভারতীয় বশোদ্ভূত দুই জঙ্গি।
‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া’ (আইএসআইএস) এবং আল কায়দা বিশ্বের এই দুই শক্তিশালী গোষ্ঠীর হয়েই কাজ করছে ওই জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, বর্তমানে আফগানিস্তান থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় উপমহাদেশে জঙ্গিদের দল তৈরি করছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রধান ইয়াসিন ভটকলের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ আবদুল খাদের সুলতান আরমার। আল কায়দার শরিক গোষ্ঠী আনসার উল-তওহিদ উল-হিন্দের সঙ্গে যোগ রয়েছে সুলতানের। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) আগেই নাশকতা ছড়ানোর অভিযোগে ‘ওয়ান্টেড’ তকমা দিয়েছে সুলতানকে। তার খোঁজ করছে ইন্টারপোলও।
সম্প্রতি, হায়দরাবাদের চার তরুণের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের জঙ্গিযুদ্ধে নিয়োগ করেছিল সুলতান। তবে হায়দরাবাদ থেকে পালাতে পারলেও কলকাতায় এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় চার জনই। গত মার্চে রাজস্থানের জোধপুরের এক বাসিন্দা এবং জয়পুরের দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে জঙ্গি-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুলতান তাদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিয়োগ করেছিল। সম্প্রতি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতেও ভারতীয়দের জেহাদে যোগ দেওয়ার আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে সুলতানকে। আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত জঙ্গি অনলাইনে ভারতীয়দের ইন্টারনেটের মাধ্যমে আইএসআইএস-এ নিয়োগের চেষ্টা করছে বলে খবর। কর্নাটকের সিমি-র (স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া) প্রাক্তন সদস্য ওই জঙ্গিরা নাম বা ছবি নেই গোয়েন্দাদের কাছে।
আজই, বেআইনি কাজকর্ম প্রতিরোধ আইনের আওতায় আল কায়দা এবং আইএসআইএসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানিয়েছে এনআইএ। চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জিনজিয়াং প্রদেশে ঘাঁটি গাড়া কিছু আইএস জঙ্গি মানুষকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, জিনজিয়াং প্রদেশ ভেঙে পূর্ব তুর্কিস্তান তৈরির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, সেই দাবিকেই ‘হাতিয়ার’ করতে চাইছে জঙ্গিরা।
আজ ইন্টারনেটে সতীর্থদের কাছে ফরাসি এবং মার্কিন নাগরিকদের আক্রমণের নির্দেশ জানিয়েছে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী। আইএস-এর মুখপাত্র আবু মহম্মদ আল-আদানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, যাঁরা জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরোধিতা করে মাঠে নামছে, তাদের আক্রমণ করবে জেহাদিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের কয়েক জন আধিকারিক আজ জানিয়েছেন, আইএস জঙ্গিদের ঠেকাতে আমেরিকাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত তারা। তবে তাদের শর্ত, ইরানের ইউরেনিয়াম প্রকল্পে (যা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি মারণ বোমা তৈরিতেও সহযোগী) অনুমোদন এবং সাহায্য করতে হবে আমেরিকাকে। ইরানের ইউরেনিয়াম প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই খুব একটা সদর্থক অবস্থান নেয়নি আমেরিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy