Advertisement
E-Paper

উদ্ধার হওয়া কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি

কঙ্কাল কাণ্ডে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে ইম্ফলে। মাটি খুঁড়ে তোলা আটটি কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলেছে এফআইডিএএম। অনুসন্ধানকারী এই সংস্থাটির দাবি, অবিলম্বে খনন কাজ বন্ধ করা হোক ওই এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ইম্ফলের তোম্বিসানা হাইস্কুলের কাছে মহিলা পরিচালিত বাজার নির্মাণের জন্য ভিত খোঁড়া চলছে কিছু দিন ধরে। সেখান থেকে মাটি তুলে পাঠানো হচ্ছে ইম্ফল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নির্মীয়মাণ সচিবালয়ের জমি ভরাট করার জন্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১০

কঙ্কাল কাণ্ডে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে ইম্ফলে। মাটি খুঁড়ে তোলা আটটি কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি তুলেছে এফআইডিএএম। অনুসন্ধানকারী এই সংস্থাটির দাবি, অবিলম্বে খনন কাজ বন্ধ করা হোক ওই এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইম্ফলের তোম্বিসানা হাইস্কুলের কাছে মহিলা পরিচালিত বাজার নির্মাণের জন্য ভিত খোঁড়া চলছে কিছু দিন ধরে। সেখান থেকে মাটি তুলে পাঠানো হচ্ছে ইম্ফল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে নির্মীয়মাণ সচিবালয়ের জমি ভরাট করার জন্য।

জমি ভরাট করার সময় মাটির ভিতর থেকে হাড়, খুলি উঁকি মারতে দেখেন শ্রমিকরা। সন্ধান চালিয়ে মাটির তলা থেকে ৮টি নর কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই একই জায়গায় আরও কঙ্কাল থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধানের জন্য মণিপুরে কাজ করে এফআইডিএএম নামে সংগঠনটি। তারা জানিয়েছে, তোম্বিসানা স্কুলে আগে সিআরপি শিবির ছিল।

তারও আগে, স্কুলের উত্তর দিকের চত্বরে ছিল পুরনো জেলা হাসপাতালের মর্গ। যদিও এক দশক আগে সেই হাসপাতালটি ভেঙে ফেলা হয়। এফআইডিএএম-এর দাবি, ওই এলাকায় যে নির্মাণ কাজ চলছে তা তদন্তের স্বার্থে মাঝ পথেই বন্ধ করা হোক। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হোক আটটি কঙ্কাল। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।

যদিও হাইস্কুলের পাশের ওই জমিতে নির্মাণকাজ এখনও চলছে। ঠিকা সংস্থাটি সাফ জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশ না পেলে কাজ বন্ধ করবে না তারা।

এফআইডিএএম-এর দাবি, ১৯৮০ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত রাজ্যে বহু মানুষ নিখোঁজ হন। ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ঘাঁটি ছিল হাইস্কুলের জমিতেই। তাদের সংশয়, বিনা বিচারে আটক বহু মণিপুরবাসীকে হত্যা করে ওইখানে পুঁতে দিয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনী।

উদ্ধার হওয়া কঙ্কালগুলিও ২০ থেকে ৩০ বছর পুরনো বলে মনে করা হচ্ছে।

এফআইডিএএম-এর সভাপতি কাংগুজাম রঞ্জিত বলেছেন, “সেই সময় নিখোঁজ ১০ জনের কঙ্কাল এর মধ্যে থাকতে পারে। নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালের ডিএনএ মেলে কি না দেখা হোক। নিরাপত্তাবাহিনীর হত্যালীলার বিরুদ্ধে কঙ্কালগুড়ি বড় প্রমাণ হতে পারে। অথচ, সরকার পরীক্ষা না করেই ওই জমিতে খোঁড়াখুঁড়ি চালিয়ে যাচ্ছে।”

fidam imphal tombisana highschool skeleton
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy