এক, দুই, তিন... প্রায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিলছে ধর্ষণের খবর। আজ ফের মোরাদাবাদের একটি গ্রামে গাছ থেকে ঝুলতে দেখা যায় কিশোরীর দেহ। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে। গত রাতে হামিরপুরে এক তরুণী অভিযোগ জানান, থানার মধ্যে পুলিশই তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই বাহরাইচের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় মহিলার ঝুলন্ত দেহ। ধর্ষণের অভিযোগ মেলে মেরঠ থেকেও।
মুখমন্ত্রী অখিলেশ যাদব কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁর রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার পরেও আজ এক শিল্প সম্মেলনে অখিলেশ বলেন, “উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা ভালই। অন্য অনেক রাজ্যের থেকে ভাল... সে জন্যই লগ্নিকারীরা ভিড় করছেন এখানে।” অখিলেশের দাবি, ক’দিন আগে অফিসারদের ডেকে যে কোনও অভিযোগেই কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এবং নির্দেশ দিয়েছেন, অন্য সকলের আগে তাঁদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে। কেন? মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “তা হলে খবরও হবে না, রাজনীতিও হবে না...!”
যদিও আজ দিনের শুরুতেই বদায়ুঁর পুনরাবৃত্তির খবর আসে মোরাদাবাদের রাজিবপুর মিলাক গ্রাম থেকে। গাছে ঝুলতে দেখা যায় ১৬ বছর বয়সি কিশোরীটির দেহ। গত কাল সন্ধে থেকে সে নিখোঁজ ছিল। হামিরপুরের ঘটনাতেও বেশ অস্বস্তিতে প্রশাসন। সংবাদমাধ্যমের হাত থেকে বাঁচতে মুখ্যমন্ত্রী যে পুলিশ অফিসারদের দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যেতে বলেছেন, সেই পুলিশই এখানে অভিযুক্ত। নির্যাতিতার অভিযোগ, পুলিশ বেআইনি ভাবে তাঁর স্বামীকে আটক করেছিল। সোমবার হামিরপুর থানায় গিয়ে স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। মোটা ঘুষ চায় পুলিশ। মহিলাটি ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় এক সাব ইন্সপেক্টর ও তিন কনস্টেবল তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও ধর্ষণ প্রমাণিত হয়নি। ডাক্তার জানিয়েছেন, তরুণীটি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এক দিকে ধর্ষণের নিত্যনতুন অভিযোগ, অন্য দিকে অখিলেশের বিতর্কিত মন্তব্য। উত্তরপ্রদেশ নিয়ে চর্চা থামছে না। নয়া বিতর্ক মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আর পাটিলের বক্তব্য নিয়েও। তিনি কাল বলেছিলেন, “প্রত্যেক বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও ধর্ষণ আটকানো যাবে না। এর জন্য দায়ী বিজ্ঞাপনে অশ্লীল ছবির ব্যবহার।” আজ কিন্তু তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার দিলীপ ভালসে পাটিল। তাঁর বক্তব্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেমন কিছু বলতে চাননি। পাটিলকে বদনাম করতেই তাঁর মন্তব্য বিকৃত করেছে সংবাদমাধ্যম। উল্টে স্পিকার জানান, বিধানসভায় সাংবাদিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে নিয়ম জারি করা যায় কি না, সেটাই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy