Advertisement
E-Paper

বিক্রি হয়ে গিয়েছেন অণ্ণা, পাল্টা দাবি সন্তোষ ভারতীর

রামলীলা কাণ্ডের পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। প্রবীণ গাঁধীবাদী নেতা অণ্ণা হজারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতার সঙ্গে সভা নিয়ে অণ্ণা শিবিরে অন্তঃকলহের সুর চড়া হচ্ছে। কাল অসুস্থতার মোড়ক থেকে বেরিয়ে তাঁর এবং মমতার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী সন্তোষ ভারতীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন খোদ অণ্ণাই

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৪ ০৩:৩৭

রামলীলা কাণ্ডের পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। প্রবীণ গাঁধীবাদী নেতা অণ্ণা হজারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতার সঙ্গে সভা নিয়ে অণ্ণা শিবিরে অন্তঃকলহের সুর চড়া হচ্ছে।

কাল অসুস্থতার মোড়ক থেকে বেরিয়ে তাঁর এবং মমতার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী সন্তোষ ভারতীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন খোদ অণ্ণাই। জানিয়েছিলেন, সে দিনের ভিড়শূন্য জনসভার জন্য দায়ী সন্তোষই। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে জবাব দেন সন্তোষ। জানান, ভিড় হয়নি ঠিকই। কিন্তু তবুও যে হেতু সামাজিক মঞ্চ, অণ্ণার যাওয়া উচিত ছিল। তাঁর কথায়, “অণ্ণা রাজনীতিবিদের মতো ব্যবহার করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল অনেকটা সন্ন্যাসীর মতো।” তাঁর দাবি, বিবেচনার অভাবে অণ্ণা নানা শক্তির কাছে বিকিয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেস ও সিপিএম তাঁর মগজ ধোলাই করছে। অণ্ণা-মমতা জুটি সফল হলে কংগ্রেসের ক্ষতি হত। তাই তারা অণ্ণাকে ভুল বুঝিয়েছে।

আজ একটি টেপ রেকর্ডার চালিয়ে সন্তোষ প্রমাণ করতে চেয়েছেন, সভায় না যাওয়ার জন্য দু’বার দু’রকম কথা বলেছেন অণ্ণা। একবার শরীর খারাপের দোহাই দিয়েছেন, আর তার দু’দিন পরেই বলেছেন ভিড় না হওয়ার জন্যই তিনি যাননি। সন্তোষের কথায়, “জয়প্রকাশ নারায়ণ, ভি পি সিংহের মতো নেতারা ২০, ৫০ জনের সামনেও বক্তৃতা দিতেন। সে দিন রামলীলায় ২,০০০ লোক এসেছিলেন। তাঁরা অণ্ণাকে শুনতেই এসেছিলেন। তাঁদের আশাহত করেছেন অণ্ণা।”

গত সপ্তাহেই তৃণমূলের যে নতুন কন্ট্রোল রুমটি খোলা হয়েছিল তা এখন জনমানবশূন্য। সন্তোষ সিংহের মতো অণ্ণা শিবিরের যে সব নেতাকে মুখপাত্রের ভূমিকা দেওয়া হয়েছিল তাঁরাও কার্যত কর্মহীন। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। অণ্ণা শিবিরের বাইরেও অনেকেই আসছেন সাউথ অ্যাভিনিউতে তৃণমূলের শিবিরে। যোগ দিতে চাইছেন তৃণমূলের প্রচারে। এখনও পর্যন্ত প্রার্থী হিসেবে দিল্লিতে কেবল অভিনেতা বিশ্বজিতের নামই ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তি। বিশ্বজিৎ জানালেন, দোলের পরেই তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে ‘হোলি মিলন’ নাম দিয়ে একটি সাংস্কৃতিক উৎসব করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। সেখানে তিনি তো বটেই, গান গাইবেন আরও বেশ কিছু শিল্পী।

santosh bhartiya anna hazare ram leela maidan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy