বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে এগিয়ে এলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা দলের প্রধান রাজ ঠাকরে। আজ দলের অষ্টম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দলের প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণা করে জানিয়ে দিলেন, তাঁর দল নরেন্দ্র মোদীকেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চায়। সেই কারণে বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দাঁড় করাবেন না তাঁরা। রাজের এই সমর্থনকে মন্দের ভাল বলেই ব্যাখ্যা করছে বিজেপি শিবির। কেন? কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিলেও শিবসেনার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছেন রাজ। আর মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গেই জোট রয়েছে বিজেপি-র। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই শিবসেনার সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই অবস্থায় রাজ ঠাকরের দল এমএনএস আলাদা করে প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-বিরোধী ভোট তিন ভাগ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। ভোট ভাগ রুখতে বিজেপি নেতা নিতিন গডকড়ী লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার জন্যই অনুরোধ করেছিলেন রাজকে। রাজ সম্পূর্ণ ভাবে না হলেও আজ বিজেপির দাবি আংশিক মেনে নিলেন। গডকড়ী তাই বলছেন, “রাজের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।” দলের মতে, এতে অন্তত বিজেপি প্রার্থী যেখান থেকে লড়বে সেখানকার শিবসেনা ও এমএনএসের ভোট দলীয় প্রার্থীর পক্ষে যাবে। রাজ এ দিন বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদীর দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। দল লোকসভা নির্বাচনে লড়লেও বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেবে না। তবে বিজেপির শরিক শিবসেনা যে কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে, সেখানে কিন্তু প্রার্থী দেওয়া হবে।” সুতরাং ঠাকরেদের অন্তর্বিরোধ যে কমেনি এতটুকু, সেটা এ দিন আরও এক বার প্রকট হল। এর ফলে সামগ্রিক ভাবে মহারাষ্ট্রে এনডিএ জোট দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা কিন্তু উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। বিশেষ করে শিবসেনার অভিযোগ, বিজেপি নয়, কংগ্রেসের পরামর্শেই কাজ করছেন এমএনএস নেতৃত্ব। বিরোধী ভোট ভাগ হলে কংগ্রেসেরই লাভ। সেনা মুখপাত্র রাহুল নারভেকর এ দিন বলেন, “ভোটারদের বিভ্রান্ত করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy