Advertisement
E-Paper

বেফাঁস কথায় বিপাকে অসমের কংগ্রেস বিধায়ক

শাহরানপুরের পর করিমগঞ্জ। ভোটের বাজারে ফের বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন কংগ্রেসেরই এক নেতা। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে জেলার নানা প্রান্তে। আজ দফায় দফায় রাস্তা অবরোধও হয়েছে। সম্প্রতি, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বেঁফাস মন্তব্য করে হেফাজতে গিয়েছেন শাহরানপুরের কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান মাসুদ। করিমগঞ্জে একই ভাবে বিপাকে বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমদ।

নিজস্ব প্রতিনিধি

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৪৬

শাহরানপুরের পর করিমগঞ্জ।

ভোটের বাজারে ফের বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন কংগ্রেসেরই এক নেতা। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে জেলার নানা প্রান্তে। আজ দফায় দফায় রাস্তা অবরোধও হয়েছে।

সম্প্রতি, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বেঁফাস মন্তব্য করে হেফাজতে গিয়েছেন শাহরানপুরের কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান মাসুদ। করিমগঞ্জে একই ভাবে বিপাকে বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমদ।

তবে, বিরোধী দলের কারও উদ্দেশে কিছু বলেননি ওই কংগ্রেস বিধায়ক। গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাবার্তার সময় তিনি আচমকা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

কয়েক দিন আগে করিমগঞ্জের কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের সমবায় ও সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ বলেছিলেন, সাংসদ ললিতমোহন শুক্লবৈদ্যকে ফের দলের টিকিট দেওয়া হলে তিনি প্রচারের কোনও কাজই করবেন না। শেষ পর্যন্ত ললিতবাবুই মনোনয়ন পান। তারপরই প্রকাশ্যে সিদ্দেক জানিয়েছিলেন, ওই প্রার্থীর সঙ্গে তিনি নেই। গতকালও বদরপুরে দলীয় কর্মসূচিতে এসে তিনি একই মন্তব্য করেন। বিকেলে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বদরপুরের বিধায়ক জামালউদ্দিন বলেন, ‘‘সিদ্দেক আহমদ আরেক দিন বদরপুরে এলে, ওঁর গাড়িতে আগুন লাগিয়ে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।’’

সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই জেলা জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে যায়। কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফয়জুর রহমান, জামালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। আজ সকালে জায়গায় জায়গায় রাস্তা অবরোধ করা হয়। আন্দোলনে উত্তাল হয় হাইলাকান্দিও।

জেলা শাসক তথা রিটার্নিং অফিসার সঞ্জীব গোঁহাইবরুয়া জানিয়েছেন, এফআইআর পেয়ে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকাল থেকে মন্ত্রী সিদ্দেকের সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করলেও, দুপুরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

এ দিকে, আজই বদরপুর ছেড়ে গুয়াহাটি চলে যান বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা জামালউদ্দিন। ঘনিষ্ট মহলের বক্তব্য, গ্রেফতারি এড়াতে আইনজীবী এবং দলীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেই তিনি রাজধানীতে গিয়েছেন।

এ নিয়ে সিদ্দেক আহমদের বক্তব্য, “ললিতবাবু তাঁর সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে আমার এলাকার জন্য টাকা খরচ করেননি। বিধানসভা ভোটে আমার বিরোধিতা করেছিলেন। তাই লোকসভা নির্বাচনে তাঁর হয়ে প্রচারে না-নামর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, বিরোধিতাও করব না।’’

করিমগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে এই পরিস্থিতি আসলে দুই মন্ত্রীর পুরনো বিবাদের জের। কংগ্রেসের সমবায় ও সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী গৌতম রায় দু’টি শিবিরের নেতা। প্রার্থী ললিতবাবু গৌতম শিবিরের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। বিধায়ক জামালউদ্দিনও ওই শিবিরভুক্ত। অভিযোগ উঠেছে, ওই এলাকায় গিয়ে সিদ্দেক আহমদ এআইইউডিএফ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মন্ত্রী আহমদ অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দেন।

assam congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy