Advertisement
E-Paper

বিমা বিল নিয়ে বিকল্প পথের খোঁজে কেন্দ্র

ধর্মান্তরণ নিয়ে বিরোধীদের হইচইয়ের জেরে অচল রাজ্যসভা। ফলে আটকে রয়েছে বিমা-সহ অন্যান্য বিলগুলি। কিন্ত মোদী সরকার চাইছে জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতে আসার আগেই বিম বিল পাশ করাতে। সেই উদ্দেশ্যে এখন বিকল্প পথের সন্ধান করছে সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:০৬

আগরায় ধর্মান্তরণ নিয়ে একজোট বিরোধীরা চাইছে নরেন্দ্র মোদী রাজ্যসভায় প্রতিশ্রুতি দিন যে, আর কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। বিজেপির কোনও নেতা হিন্দুত্ব উস্কে দেওয়া মন্তব্য করবেন না। করলে দায়ী থাকবেন প্রধানমন্ত্রীই। আজও এই দাবিতে হইচই করে বিরোধীরা।

কিন্তু বিরোধীদের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, “উদ্ধত বিরোধীরা রাজ্যসভাকে অচল করে রেখেছে। আমরা ধর্মান্তরণ নিয়ে আলোচনায় রাজি। কিন্তু এই বিষয়ে জবাব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বিতর্কে কে অংশ নেবেন, তা বিরোধীরা ঠিক করে দিতে

পারেন না।”

বিজেপির দাবি, ওবামার সফরের আগে বিমা বিল পাশ করাতে দিতে চায় না বিরোধীরা। তাই ধর্মান্তরণ নিয়ে আলোচনা সরকার মেনে নেওয়া সত্ত্বেও তারা রাজি হল না। তা না হলে আজ প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভায় ছিলেন। তিনি বিতর্কে অংশ নিতেও প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে হলে দেবেন রাজনাথ সিংহ। কারণ, আলোচনার বিষয়, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতে আঘাত আসছে। বিষয়টি পড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরই আওতায়। বিরোধীদের দাবি, এই সব কথা বলে সরকারই ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিয়েছে।

এই টানাপড়েনে বিমা-সহ বিভিন্ন সংস্কারের বিলগুলি এ যাত্রায় পাশ হওয়ার সম্ভাবনা যে ক্রমশই ক্ষীণ হচ্ছে, তা বুঝতে পারছে সরকার। তাই বিকল্প পথ প্রস্তুত রাখতে চাইছে সরকার। সরকারি সূত্রের মতে, সংসদের চলতি অধিবেশনের আর বাকি তিন দিনের মধ্যে যদি বিল পাশ না হয়, তা হলে সরকার অর্ডিন্যান্সের পথে হাঁটতে পারে। বিমা বিল নিয়ে রাজ্যসভার সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান চন্দন মিত্র এ দিন বলেন, “রাজ্যসভায় বিমা বিলটি আটকে থাকলেও অর্ডিন্যান্স আনতে কোনও বাধা নেই। এক বার অর্ডিন্যান্স পাশ হয়ে গেলে তার পর ছ’মাসের মধ্যে সেই অর্ডিন্যান্সটি সংসদে পাশ করাতেই হবে।”

এ ছাড়া কয়লা খনি নিলাম সংক্রান্তের মতো বিলটি আটকে গেলেও অর্ডিন্যান্সের পথ ধরতে পারে সরকার। তবে সে ক্ষেত্রে নানা সমস্যাও আছে। তাই সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি সমাধানসূত্র একটাই। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক বাড়িয়ে রাজ্যসভায় শক্তি বাড়ানো।”

insurence bill central government
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy