বিধানসভা ভোটের দিকে নজর রেখে আগামী দেড় মাস রাজ্যের প্রতিটা বুথে বৈঠকি সভা করচে চাইছে সিপিএম। দলের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে শীতের উৎসবের মরসুমে আগামী ১০ দিনে ১০ হাজার বুথে বৈঠকি সভার মাধ্যমে পৌঁছতে চাইছে সিপিএম। রাজ্য কমিটির বৈঠকের পরে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম শুক্রবার বলেছেন, ‘‘রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, আতঙ্কে ইন্ধন দিচ্ছে বিজেপি। লোকে মন খুলে কথা বলতে পারেন না। আগামী দশ দিনে রাজ্যে জুড়ে দশ হাজার বৈঠকি সভা করব আমরা। আর আগামী দেড় মাসে প্রতিটা বুথে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সঙ্গে বৈঠকি সভার মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে, বুঝতে চাইব।’’
রাজ্য কমিটির এ বারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবিও। ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’য় যে সাড়া পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশিই এসআইআর-এর শুনানি-পর্বে আরও বেশি করে মানুষের সহায়তায় পাশে থাকার কথা বলা হয়েছে। একাধিক জেলার নেতারা দাবি জানিয়েছেন, বিধানসভা ভোটের জন্য আসনের ভাগাভাগি দ্রুত চূড়ান্ত করুক বামফ্রন্ট। নইলে প্রস্তুতি শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
কলকাতার বিধান ভবনে এ দিনই বসেছিল প্রদেশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির (পিএসি) বৈঠক। ছিলেন এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে প্রায় ৮০ হাজার বুথের মধ্যে এসআইআর-এ কংগ্রেসের দলীয় প্রতিনিধি (বিএলএ) রয়েছেন ১৩ হাজার ৪১১ জন। তবে সূত্রের খবর, পিএসি-র বৈঠকে অধিকাংশ নেতাই রাজ্যের ২৯৪ আসনে একা লড়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো বর্ষীয়ান নেতারা অবশ্য এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না পৌঁছনোর পরামর্শ দিয়েছেন। এরই মধ্যে আজ, শনিবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ‘সহস্র কণ্ঠে সংবিধান পাঠে’র আয়োজন করেছে কংগ্রেস। মীরের বক্তব্য, ‘‘নির্বাচন কাছাকাছি আসতেই পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন ও রোজগারের প্রশ্নকে দূরে সরিয়ে ধর্ম, জাত নিয়ে ভাগাভাগির বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা সংবিধানে স্বীকৃত আমাদের গণতন্ত্রের মূল ভাবনা ও অধিকারকে রক্ষা করার কথা বলতে চাই।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)