Advertisement
১৯ মে ২০২৪

বদায়ূঁর ঘটনা আত্মহত্যা: সিবিআই

উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁর দুই বোন আত্মহত্যা করেছিল বলে দাবি করল সিবিআই। আজ সিবিআই জানিয়েছে, ৪০টি বৈজ্ঞানিক রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে তারা। সিবিআই-এর তরফে কাঞ্চন প্রসাদ জানান, তদন্ত-শেষে স্পষ্ট যে এটা আত্মহত্যা। দুই বোনের উপর যৌন হেনস্থা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান মেডিক্যাল বোর্ড।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৫৬
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁর দুই বোন আত্মহত্যা করেছিল বলে দাবি করল সিবিআই। আজ সিবিআই জানিয়েছে, ৪০টি বৈজ্ঞানিক রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে তারা।

সিবিআই-এর তরফে কাঞ্চন প্রসাদ জানান, তদন্ত-শেষে স্পষ্ট যে এটা আত্মহত্যা। দুই বোনের উপর যৌন হেনস্থা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান মেডিক্যাল বোর্ড। তবে দুই কিশোরীর পরিবার সিবিআই-এর দাবি মানতে চাননি। তাঁদের আর্জি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে হবে যাতে ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়। এক কিশোরীর বাবার ক্ষোভ, দু’জন কেন আত্মহত্যা করবে, সিবিআই তা জানায়নি। তাঁর কথায়, “ন্যায়বিচার না পেলে আমরা নিজেদের শেষ করে দেব।”

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব আজ সংবাদমাধ্যমের উপর তোপ দেগে বলেছেন, “আমাদের ভুলগুলো বড় করে দেখানো হয়। কিন্তু ভাল কাজগুলো সংবাদমাধ্যম উল্লেখও করে না। বদায়ূঁর ঘটনায় সরকারকে আপনারা অপমান করেছেন।”

উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী আজম খানও আজ সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত সংবাদমাধ্যমের।” তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের উপর যাদের আস্থা রয়েছে, বদায়ূঁর ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে তাঁরা আঘাত পেয়েছেন।”

বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় গত ২৭ মে রাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল বদায়ূঁর কাটরা সাদাতগঞ্জ গ্রামের দুই তুতো বোন। পরের দিন সকালে গাছ থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার পর থেকে দেশ জুড়ে চলেছে নানা রাজনৈতিক তরজা। তোলা হয়েছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। দেশবাসী দেখেছেন একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য, পাল্টা মন্তব্যও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

badaun suicide cbi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE