‘জনগণের কাছে চলো’ স্বশাসিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদের দাবিতে এমনই স্লোগান তুলে অভিযান শুরু করছে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন। মাসখানেকের ওই কর্মসূচির পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। রবিবার শিলচর বঙ্গ ভবনে তার খসড়া প্রকাশ করা হয়।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সমিতির সভাপতি নীতীশ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক গৌতম প্রসাদ দত্ত বলেন, কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে অভিযান চলবে। ওই খসড়া পত্রটি নিয়ে যাওয়া হবে পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধিদের কাছেও। বিশিষ্ট জনেদের পরামর্শও নেওয়া হবে। পরে তৈরি করা হবে চূড়ান্ত দাবিপত্র।
গৌতমবাবু বলেন, “তেলঙ্গানা গঠনের পর ছবিটা বদলাচ্ছে।” তাঁর বক্তব্য, বড়োল্যান্ডের দাবির যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব জি কে পিল্লাইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তা-ই স্বশাসিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদের জন্য চাপ সৃষ্টির এটাই সময়।
নীতীশবাবুর কথায়, “ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছি আমরা। ১৮ বছরে ২০১ কিলোমিটার ব্রডগেজের কাজ শেষ হয়নি। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর প্রকল্পও ঝুলে রয়েছে। কেন্দ্র পুবে তাকাও নীতির কথা বললেও, বাস্তবে এখানে কিছুই হয়নি।”
খসড়া প্রস্তাব কমিটির আহ্বায়ক সঞ্জীব দেবলস্কর জানান, ২০০৫ থেকে তাঁরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে এগোচ্ছেন। উপত্যকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বহুভাষিক সমন্বয় সমিতি। কংগ্রেস, বিজেপি, এসইউসি আই’ও উন্নয়ন পর্ষদের দাবিতে সমর্থনের কথা জানায়। এআইইউডিএফ বিধানসভা অধিবেশনেও তার পক্ষে কথা বলে। লোকসভা ভোটের আগে তাঁরা রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান স্পষ্ট ভাবে জেনে নিতে চাইছেন। প্রার্থীদের কাছেও মতামত জানতে চাইবেন। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন এ নিয়ে দেরি করতে চাইছে না। নতুন লোকসভা গঠনের পরই তারা আন্দোলনে ঝাঁপাতে চায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy