নরেন্দ্র মোদী যদি শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হন, তা হলেও নয়াদিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ঢিলে দিতে চাইছে না ইসলামাবাদ। লোকসভা ভোটে দিল্লির সমীকরণ কী হয়, তা নিয়ে এখন অধীর আগ্রহ পাকিস্তানে। মোদী সম্পর্কে পাকিস্তানের মানুষের মধ্যে মিশ্র মনোভাব রয়েছে। একই সঙ্গে তারা এটাও মনে করে লোকসভা ভোটের পর নতুন সরকারে যেই আসুক, আলোচনার রাজনৈতিক পরিসর যেন কমে না যায়।
এ দেশে সব ভোটসমীক্ষাই এগিয়ে রেখেছে বিজেপি-কে। সার্বিক ভোটের হাওয়া মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পক্ষে। বিষয়টি কী ভাবে দেখছেন নওয়াজ শরিফ সরকার?
পাক সূত্রে বলা হচ্ছে, মোদী সম্পর্কে সেখানকার মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাঁকে এখনও গুজরাত দাঙ্গার প্রধান কারিগর হিসাবেই ভাবেন পাকিস্তানের একটি বড় অংশ। ফলে মোদী যদি ভারত সরকারের চালকের আসনে বসেন তা হলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে নওয়াজ শরিফকে এই অংশটির কথাও মাথায় রাখতে হবে। তবে কোনও কিছুই যে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতি রুদ্ধ করতে পারবে না, পাশাপাশি সে কথাও কিন্তু জানিয়ে দিচ্ছে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানি দূতাবাস।
ইতিমধ্যেই সার ক্রিক নিয়ে যথেষ্ট কঠোর অবস্থান নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচনী প্রচারে তিনি জানিয়েছেন, সার ক্রিক পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার তিনি ঘোর বিরোধী। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলেও কি পাকিস্তানের সঙ্গে চড়া লাইন নিয়ে চলবেন তিনি? বিষয়টি নিয়ে এখন থেকেই কোনও রকম দুর্ভাবনায় যেতে নারাজ ইসলামাদ। পাক সূত্রের বক্তব্য, নির্বাচনের সময় অনেকেই অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য কড়া কথা বলে থাকেন। সরকারে এলেই আসল দৌত্য শুরু হয়। এটা গোটা বিশ্বের ক্ষেত্রেই সত্য। নতুন সরকার এসে দু’দেশের মধ্যে ভিসা শিথিল করা, পাকিস্তানি সিনেমা এবং চ্যানেল ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার দেওয়ার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চায় পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy