ভোট যত এগিয়ে আসছে সমস্যা যেন বাড়ছে জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের। শিবানন্দ, সুশীল সিংহ, এন কে সিংহদের পর এ বার দলের অন্যতম মুসলিম মুখ, সাবির আলিও তাঁর বিরোধিতায় নামলেন। তার জেরে রাজ্যসভার সদ্য প্রাক্তন হওয়া সাংসদ সাবির আলিকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন নীতীশ-শরদরা।
নির্বাচনের তৃতীয় পর্বে, অর্থাৎ ১০ এপ্রিল বিহারের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হবে ৬টি আসনে। প্রচার এখন তুঙ্গে। সব দলের সঙ্গে ময়দানে নেমে পড়েছেন নীতীশও।
সাবির আলির অপরাধ কী? নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় মুখর হন তিনি। আজ দিল্লির সংবাদমাধ্যমে সাবির বলেন, “ছোট দলগুলি ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মুসলমানদের বোকা বানাচ্ছে। তাদের বিজেপির জুজু দেখানো হচ্ছে।” সরকার গড়া নিয়ে তিনি বলেন, “যার নীতি ভাল হবে সে-ই সরকার গড়বে।” নরেন্দ্র মোদীর নীতি সর্ম্পকে তাঁর মন্তব্য, “কাছ থেকে দেখিনি। তবে দূর থেকে দেখে তো মনে হয় তাঁর নীতি খারাপ না।” এর পরেই ফোনে নীতীশ-শরদ কথাবার্তা এবং সাবিরের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা। জেডিইউ সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কে সি ত্যাগী বলেন, “মোদীর প্রশংসা করায় সাবির আলি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির প্রতি অনাস্থা জানান। তাই দল সারা জীবনের জন্য তাঁকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেই বহিষ্কার করেছে।” ত্যাগীর যুক্তি, “নীতীশ যখন ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য তৃতীয় বিকল্পের পথে হাঁটছেন, তখন এই ধরনের মন্তব্য দলের প্রতি মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করছে।”
সাবির আলি মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী। এ বার রাজ্যসভার টিকিট না পাওয়ায় জেডিইউ টিকিটে সিওহর থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত প্রচার বা সাংগঠনিক কাজ অবশ্য তিনি করেননি। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, তিনি চাইছিলেন নীতীশের সঙ্গ ছাড়তে। তাই জেনে বুঝেই তিনি আজ নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন। জেডিইউ দিল্লি শাখার নেতা-কর্মীরা সাবির আলির সঙ্গে আছেন বলে তাঁদের দাবি। তার জন্মভূমি মোতিহারি থেকে শ’দেড়েক সমর্থক দিল্লি পৌঁছেছে। আজ তিনি দিল্লি শাখার জেডিইউ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এর পর তিনি কী করবেন সে ব্যাপারে কাল সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সাবিরের শিবির জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy