Advertisement
E-Paper

রবিবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল ভবানী বালার

এক আত্মীয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দিন কয়েক আগে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ভবানী বালা। তার পর দিন দু’য়েকের জন্য মহীশূর ঘুরতে গিয়েছিলেন আত্মীয়দের সঙ্গেই। শনিবার দিনটা কাটিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর কয়েকটি মলে ঘোরাঘুরি করে। ভেবেছিলেন রবিবারের ট্রেন ধরেই ফিরে যাবেন বাড়ি। কিন্তু টিকিট পাননি। তাই ঠিক করেছিলেন রবিবার রাতে আত্মীয়দের সঙ্গে ঘুরে দেখবেন বেঙ্গালুরুর চার্চ স্ট্রিট, এমজি রোড এবং ব্রিগেড রোড। সেই রকম পরিকল্পনা করেই ভবানী আরও কয়েক জন আত্মীয়ের সঙ্গে দল বেঁধে বেরিয়েছিলেন ঘুরতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:০৫
হাসপাতাল থেকে বার করা হচ্ছে ভবানীর নিথর দেহ। ছবি: এএফপি

হাসপাতাল থেকে বার করা হচ্ছে ভবানীর নিথর দেহ। ছবি: এএফপি

এক আত্মীয়ের জন্মদিন উপলক্ষে দিন কয়েক আগে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা ভবানী বালা। তার পর দিন দু’য়েকের জন্য মহীশূর ঘুরতে গিয়েছিলেন আত্মীয়দের সঙ্গেই। শনিবার দিনটা কাটিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর কয়েকটি মলে ঘোরাঘুরি করে। ভেবেছিলেন রবিবারের ট্রেন ধরেই ফিরে যাবেন বাড়ি। কিন্তু টিকিট পাননি। তাই ঠিক করেছিলেন রবিবার রাতে আত্মীয়দের সঙ্গে ঘুরে দেখবেন বেঙ্গালুরুর চার্চ স্ট্রিট, এমজি রোড এবং ব্রিগেড রোড। সেই রকম পরিকল্পনা করেই ভবানী আরও কয়েক জন আত্মীয়ের সঙ্গে দল বেঁধে বেরিয়েছিলেন ঘুরতে। ভবানীর পাশাপাশি হাঁটছিলেন তাঁর ভাইপো কার্তিক। চার্চ স্ট্রিটে ঘুরতে ঘুরতে তাঁরা কোকোনাট গ্রোভ নামের ওই রেস্তোরাঁর সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণ হয়। ছিটকে পড়েন ভবানী এবং কার্তিক। তাঁদের ওই দলের মধ্যে কয়েক জন শিশুও ছিল। অল্পের জন বেঁচে গিয়েছে তারা সকলে। ভবানীর মাথায় এবং গলায় গুরুতর আঘাত লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই বাঁচানো যায়নি ওই মহিলাকে। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে সোমবারই চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন ভবানীর স্বামী। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। চেন্নাইয়ের বাড়িতেই রেখে এসেছেন তাঁদের ১৫ বছরের ছেলে এবং ১২ বছরের মেয়েকে। বোমার ছিটকে আসা অংশ পিঠে বিঁধলেও বেঁচে গিয়েছেন কার্তিক। সোমবার সকালেই এমবিএ-র ছাত্র কার্তিকের অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কার্তিক স্থিতিশীল। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তাঁরা। রবিবার রাতের ওই বিস্ফোরণে আহত হয়ে কিছু দূরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সন্দীপ এবং বিনয় নামের আরও দুই ব্যক্তি। তাঁরা আইটি সংস্থায় চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। সেই রাতে তাঁরা বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে খেতে বেরিয়েছিলেন চার্চ স্ট্রিটে। তখনই বিস্ফোরণ ঘটায় তাঁরা আহত হন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সন্দীপ বা বিনয়, কারও আঘাতই গুরুতর নয়।

bhabani bala bengaluru blast ied blast church street nia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy