Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
International News

চিন গোপনে বানাচ্ছে বৃহত্তম এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার, দেখাল উপগ্রহের ছবি

একটি মার্কিন উপগ্রহের চিত্রে ওই চিনা এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার নির্মাণের প্রস্তুতির ছবি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)।

চিনের বৃহত্তম এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার বানানোর প্রস্তুতি, যা ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

চিনের বৃহত্তম এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার বানানোর প্রস্তুতি, যা ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
হংকং/বেজিং শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৯ ১৬:৩৮
Share: Save:

সমুদ্র থেকে এক সঙ্গে অনেকগুলি যুদ্ধবিমান ওড়ানোর জন্য চিন তার সবচেয়ে বড় এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারটি বানাতে শুরু করেছে। এটিই হবে চিনের তৃতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার।

একটি মার্কিন উপগ্রহের চিত্রে ওই চিনা এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার নির্মাণের প্রস্তুতির ছবি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস)। মার্কিন উপগ্রহের তোলা ছবি দেখিয়েছে, শাংহাই থেকে সামান্য দূরে জিয়াংনান শিপইয়ার্ডে একটি বিশাল জাহাজে ওই এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার বানানোর কাজ গত ৬ মাসে আরও গতি পেয়েছে।

চিনের কয়েকটি সরকারি সংবাদমাধ্যম এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিলেও, বেজিং এখনও সরকারি ভাবে ওই এয়ারক্র্যাফ্ট বানানোর ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। তবে পেন্টাগন গত সপ্তাহে জানিয়েছে, চিন যে গোপনে ওই এয়ারক্র্যাফ্ট বানাচ্ছে, সম্প্রতি সে ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।

চিনের প্রথম এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারটি ছিল সোভিয়েত জমানার। সেটি পরে ইউক্রেনের কাছে থেকে কিনেছিল বেজিং। তার নাম- ‘লিয়াওনিং’। দ্বিতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারটি চিন নিজের দেশেই বানিয়েছে। তবে সেটি খুব একটা বড় নয়। আর সেটি এখনও চিনের নৌবাহিনীর হেফাজতে আসেনি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই বৃহত্তম এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারটি চিনা নৌবাহিনীর হাতে এলে তা এশিয়ায় মার্কিন নৌবাহিনীর ‘দাপাদাপি’কে তো চ্যালেঞ্জ জানাবেই, ক্ষমতার নিরিখে ভারত ও জাপানের নৌবাহিনীকেও পিছনে ফেলে দেবে।

আরও পড়ুন- মা হলেন মেগান, প্রথম সন্তানে উচ্ছ্বসিত রাজকুমার হ্যারি​

আরও পড়ুন- মাসুদকে ছাড়ের বদলে ওবর-এ দিল্লিকে চায় চিন​

মার্কিন উপগ্রহের পাঠানো যে ছবির ভিত্তিতে সিএসআইএস এই খবর দিয়েছে, তাতে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারের সামনের দিকটা অনেকটাই ধনুকের মতো। পরে যা সমান হয়ে গিয়েছে। আর সেই অংশটি লম্বায় ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট। এ ছাড়াও সেই জাহাজের কাঠামোটা ৪১ মিটার চওড়া।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের এই তৃতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারটি ‘টাইপ ০০২’ শ্রেণির। যা আদতে আমেরিকার সবচেয়ে বড় এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারের তুলনায় ছোট। মার্কিন এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারটির ওজন ১ লক্ষ টন। কিন্তু এটি ফ্রান্সের সাড়ে ৪২ হাজার টন ওজনের শার্লে দ্য গল এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারের চেয়ে অনেকটাই বড়।

সিএসআইএস-এর বিশ্লেষক ম্যাথু ফুনাইওলে বলেছেন, ‘‘গত ৬ মাসে ওই এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার নির্মাণের কাজ যে খুব দ্রুত গতিতে হচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে।’’

তবে এই এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারটি চিন কী ভাবে চালাবে, সে ব্যাপারে এখনও সঠিক কোনও তথ্য বিশেষজ্ঞদের হাতে আসেনি। তাঁদের একাংশের ধারণা, অন্যান্য দেশ যে ভাবে এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার চালায়, চিনও হয়তো সেই ভাবেই চালাবে। বিশেষজ্ঞদের আর একটি অংশ মনে করছেন, তা কোনও আধুনিক তড়িৎ-চুম্বকীয় পদ্ধতি বা পরমাণু শক্তিতেও চালানো হতে পারে।

এই মুহূর্তে চিনের হাতে এমন ১০টি সাবমেরিন রয়েছে, যেগুলি পরমাণু শক্তিতে চলে। কিন্তু এমন কোনও জাহাজ এখনও চিনের হাতে নেই, যা চলে পরমাণু শক্তিতে।

চিনের আগের দু’টি এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার অবশ্য আকারে ছিল অনেকটাই ছোট। সেগুলি থেকে বড়জোর ২৫টি যুদ্ধবিমান একই সঙ্গে ওড়ানো সম্ভব। যা মার্কিন এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ারের ক্ষমতার অর্ধেক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE