মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ছবি রয়টার্স।
গদি হারানোর ভয় পাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যবর্তী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস এখন ডেমোক্র্যাটদের দখলে। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বা ইমপিচমেন্টের দাবি তুললে তা হাউসে গৃহীত হতে পারে বলে আশঙ্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এমনই জানিয়েছে বলে সম্প্রতি একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। হোয়াইট হাউসের অন্য একটি সূত্রের দাবি, ২০১৬-এর নির্বাচনী প্রচারের সময়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে পারে বিরোধীরা। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই সময়ে মুখ বন্ধ রাখতে স্টর্মি ড্যানিয়েলস এবং ক্যারেন ম্যাকডোগালকে ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে বিপুল অর্থ দিয়েছিলেন তিনি। তার আগে দু’পক্ষের মধ্যে গোপন চুক্তি হয়েছিল। ওই দুই মহিলাই ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছেন।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে এক দল সরকারি আইনজীবীর পেশ করা নথির ভিত্তিতে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে। ওই নথিতে এই প্রথম ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি আঙুল তুলে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নির্দেশেই ২০১৬-র নির্বাচনী প্রচারে আইন ভেঙে স্টর্মিদের টাকা দিয়েছিলেন কোহেন। ডেমোক্র্যাটদের দাবি, ইমপিচমেন্ট করার মতোই অপরাধ করেছেন ট্রাম্প। এই অপরাধে মেয়াদ ফুরোলে ট্রাম্পের হাজতবাসও হতে পারে। হাউসের বিচারবিভাগীয় কমিটির হবু চেয়ারম্যান, জেরি ন্যাডলার বলেছেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে তা ‘ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব-যোগ্য’ অপরাধ বলেই গৃহীত হবে। তবে এখনই এমন কিছু ঘটবে বলে বিশ্বাস করেন না হোয়াইট হাউসের অধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy