জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প— ফাইল চিত্র।
শেষ বেলায় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে অ্যারিজোনা। সেই সঙ্গে অবসান ঘটিয়েছে দু’দশকের ‘ঐতিহ্যের’। আমেরিকায় সদ্যসমাপ্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে এই তথ্যই উঠে এসেছে।
এ বারের ভোটে আমেরিকায় দক্ষিণ পশ্চিমের এই রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী তথা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্টোরাল ভোটের দখল নিয়েছেন ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। ফলে ২৭০-এর ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়া সহজসাধ্য হয়েছে তাঁর পক্ষে। শতাংশের হিসেবে অবশ্য দু’জনের ব্যবধান যৎসামান্য। বাইডেন পেয়েছেন অ্যারিজোনার ৪৯.৪১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। ট্রাম্প ৪৯.০৭ শতাংশ।
কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভোটের ফর্মুলা মেনে সবগুলি ইলোক্টোরাল ভোটেরই দখল নিয়েছেন বাইডেন। আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, দক্ষিণ-পূর্বাংশের এই রাজ্য বরাবরই রিপাবলিকানদের ‘শক্ত ঘাঁটি’। ১৯৯৬ সালে শেষ বার ডেমোক্র্যাট বিল ক্লিন্টন জিতেছিলেন এই রাজ্যে। বাইডেনের দলের বারাক ওবামা দু’দফায় প্রেসিডেন্ট ভোটে জিতলেও কখনও অ্যারিজোনায় জিততে পারেননি।
১৯৪৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট হ্যারি ট্রুম্যান এই রাজ্যে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হন। তার পর থেকে টানা প্রায় পাঁচ দশক ধারাবাহিক ভাবে অ্যারিজোনার ফল রিপাবলিকান প্রার্থীদের অনুকূলে গিয়েছে। অর্থাৎ ৭২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে অ্যারিজোনা জয় করলেন বাইডেন।
আরও পড়ুন: রাওলিংয়ের হ্যারি পটার উপন্যাসের সলাজারের সাপ মিলল অরুণাচলে
ট্রাম্প অবশ্য এখনও হার স্বীকারে নারাজ। বাইডেনকে প্রথামাফিক শুভেচ্ছাও জানাননি তিনি। এখনও ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ‘ভোট-চুরির’ অভিযোগে তিনি অনড়। এমনকি, ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’ বাইডেনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে প্রশাসনিক সহযোগিতাও করছেন না হোয়াইট হাউসের বর্তমান কর্ণধার।
আরও পড়ুন: রাহুল অনাগ্রহী, অপরিণত, অপটু, বলছেন বারাক ওবামা
ট্রাম্পকে অক্সিজেন জুগিয়েছে জর্জিয়া। এই রাজ্যে সাধারণ ভোটের গণনায় ১৪ হাজারের বেশি ভোটে বাইডেন এগিয়ে যাওয়ার পরেই কারচুপির অভিযোগ এনে আদালতে যান ট্রাম্প। আদালতের নির্দেশে ১৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের এই প্রদেশে এ বার নতুন করে কয়েক লক্ষ ভোট হাতে গোনা হবে। তবে তাতেও ভোটের ফলে কিছু বদল হবে না বলে দাবি ডেমোক্র্যাটদের। যদিও এই পরিস্থিতিতে আগামী জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা হস্তান্তর আদৌ সুষ্ঠু ভাবে মিটবে কি না, তা নিয়েই সন্দিহান আমেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy