নীরব মোদী।
দু’জনেই ঋণখেলাপে অভিযুক্ত। দু’জনেই লন্ডনে। দু’জনেরই আইনজীবী এক। এবং দু’জনেরই মামলা শুনেছেন এক বিচারক। লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার আদালতের সেই মুখ্য ম্যাজিস্ট্রেট এমা আর্বাথনটই আজ প্রশ্নটা তুললেন এজলাসে— দু’জনকেই যদি প্রত্যর্পণ করা হয়, সে ক্ষেত্রে কি একই সেলে থাকবেন বিজয় মাল্য এবং নীরব মোদী?
আজ নীরবের জামিনের আর্জির শুনানির শুরুতেই বিচারক বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, যেন আগেও এমন একটা পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছি।’’ মাল্যের প্রত্যর্পণ মামলার শুনানির সময়ে মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলের একটি সেলের ভিডিয়ো তাঁকে দেখিয়েছিলেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সেলটি সুস্থ ভাবে বসবাসের যোগ্য কি না, তার প্রমাণ দিতেই ওই ভিডিয়ো। হাল্কা মেজাজে এমা বলেন, ‘‘আমরা কি জানি, ভারতের কোন অঞ্চল থেকে ওঁকে চাওয়া হচ্ছে?’’ বিচারককে তখন জানানো হয়, নীরবকে পাঠানো হবে মুম্বইয়ে, সম্ভবত কড়া নিরাপত্তায় মোড়া আর্থার রোড জেলেই। বিচারক তখন বলেন, ‘‘...হয়তো (মাল্যর সঙ্গে) একই সেলে, কারণ আমরা জানি, সেখানে জায়গা আছে।’’
সাদা শার্ট পরা নীরব বসেছিলেন কাচ-ঘেরা কাঠগড়ায়। বস্তুত, আগামী ২৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিনে তাঁকে আর আদালতে দেখাও যাবে না। ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে শুনানি হবে সরাসরি জেল থেকে। কোর্ট বলেছে, ফের জামিন চাইতে হলে সম্পূর্ণ নতুন কোনও যুক্তি হাজির করতে হবে নীরবের আইনজীবীদের। অথবা দু’সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টেও যেতে পারেন তাঁরা। আর ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসকে ২৪ মে-র মধ্যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সূচিপত্র-সহ সাজিয়ে জমা দিতে হবে আদালতে।
জামিনের জন্য ১০ লক্ষ পাউন্ড বন্ড দেওয়ার পাশাপাশি শরীরে জিপিএস জাতীয় যন্ত্র বাঁধতেও রাজি ছিলেন নীরব। কিন্তু বিচারকের মতে, মামলাটি পরিষ্কার প্রতারণার। এবং জামিনে ভারত সরকারের উদ্বেগ মিটবে না। নীরব যে ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তাতেও বোঝা যায়, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভারত থেকে দূরে থাকতে চাইছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy