Advertisement
১৯ মে ২০২৪

শরণার্থী শিশু মৃত্যু নিয়ে তির ট্রাম্পের

মার্কিন সীমান্তরক্ষীদের হেফাজতে থাকাকালীন গুয়াতেমালার দুই শিশু মৃত্যুর ঘটনার দায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাপিয়ে দিলেন ডেমোক্র্যাটদের উপরেই। টুইটে তাঁর দাবি, ‘‘সীমান্তে যে কোনও শিশু বা অন্য কারও মৃত্যু একেবারেই ডেমোক্র্যাটদের গাফিলতির জন্য হচ্ছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২৬
Share: Save:

যত দোষ ডেমোক্র্যাটদের ঘাড়ে!

মার্কিন সীমান্তরক্ষীদের হেফাজতে থাকাকালীন গুয়াতেমালার দুই শিশু মৃত্যুর ঘটনার দায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাপিয়ে দিলেন ডেমোক্র্যাটদের উপরেই। টুইটে তাঁর দাবি, ‘‘সীমান্তে যে কোনও শিশু বা অন্য কারও মৃত্যু একেবারেই ডেমোক্র্যাটদের গাফিলতির জন্য হচ্ছে। ওদের যন্ত্রণাদায়ক অভিবাসন নীতির জন্য লম্বা রাস্তা পেরিয়ে লোকজন আমাদের দেশের দিকে চলে আসে, আর ভাবে এখানে বেআইনি ভাবে ঢুকে পড়তে পারবে। ওরা পারবে না। যদি আমাদের একটা প্রাচীর থাকত, ওরা চেষ্টাই করত না।’’

গুয়াতেমালার সেই দুই শিশু ফিলিপ (৮) আর জ্যাকলিন (৭) স্বজনদের সঙ্গে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে বেআইনি ভাবে আমেরিকায় ঢোকার পরে হেফাজতে রাখা হয়েছিল তাদের। সেখানে অসুস্থ হয়ে শিশু দু’টির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেও ট্রাম্প সেই সময়ে মুখ খোলেননি। আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে মেক্সিকো সীমান্ত বরাবর প্রাচীর তুলতে বদ্ধপরিকর ট্রাম্প। তার জন্য সরকারের কাছ থেকে ৫৭০ কোটি ডলার চেয়েছেন তিনি। কিন্তু ডেমোক্র্যাটরা প্রাচীর তুলতে দিতে নারাজ। সেই বিরোধের জেরে মার্কিন সরকারে শাট ডাউন চলছে সপ্তাহ জুড়ে। সে ব্যাপারেও ট্রাম্পের তির ডেমোক্র্যাটদের দিকে।

হেফাজতে শরণার্থী শিশু-মৃত্যু নিয়ে শনিবার টুইটে তিনি অবশ্য সওয়াল করেছেন সীমান্তরক্ষী বিভাগের হয়েও। প্রেসিডেন্টের দাবি, ‘‘সীমান্ত রক্ষী অফিসারদের হাতে তুলে দেওয়ার আগে থেকেই ওই দুই শিশু অসুস্থ ছিল। মেয়েটির বাবা বলেছেন, তাঁদের ত্রুটি নেই, কিন্তু উনি মেয়েটিকে বেশ কিছু দিন জল পর্যন্ত দেননি। সীমান্ত রক্ষীদের জন্য প্রাচীরটা দরকার। তবে এই সমস্যার শেষ হবে। ওঁরা এত পরিশ্রম করছেন, অথচ আর তার জন্য যৎসামান্য প্রশংসাও জোটে না ওঁদের।’’

পেনসিলভেনিয়ার ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ডোয়াইট ইভানস টুইটে বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প এই ধরনের হাস্যকর মন্তব্য করে নিজেকে আরও নীচে নামাচ্ছেন। সীমান্তে যে যন্ত্রণার সাক্ষী হচ্ছেন অগুনতি মানুষ, তার জন্য দায়ী ট্রাম্পের প্রশাসন।’’ আরও অনেকেই ট্রাম্পের এই টুইটকে ‘বিরক্তিকর’ বলে জানিয়েছেন, মার্কিন অভিবাসন নীতি অতীতেও যা ছিল, তাতে কোনও শিশুকে হেফাজতে মরতে হয়নি।

সমালোচনার মুখেও ট্রাম্প তাঁর অবস্থান থেকে নড়ছেন না। ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কোনও আপস-মীমাংসা না হলে তিনি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। তবে নতুন কংগ্রেসে হাউস স্পিকার হওয়া প্রায় নিশ্চিত যাঁর, সেই ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, তাঁরা দ্রুত সরকারি কাজ শুরু করতে চান। তাঁর দাবি, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ডেমোক্র্যাটরা আরও সক্রিয় হলে ছবিটা বদলাবে। পেলোসির কথায়, ‘‘গন্ডগোলে ভরা হোয়াইট হাউসের তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE