টোমো এমন কিছু কাজ করতে চেয়েছিলেন যা স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাক্তন পুলিশকর্মী। একটা সময় চোর-ডাকাতের পিছনে দৌড়ে বেড়িয়েছেন। এই পেশায় থাকার ১২ বছর পর মনে হল অন্য কিছু করবেন। সেই ভাবনা থেকেই ঘটনাচক্রে তিনি হয়ে গেলেন যৌন উপদেষ্টা। ৩৭ বছর বয়সি টোমোর মারজানোভিকের নতুন পরিচয় এখন ‘সেক্স গুরু’।
পুলিশের পেশায় থাকাকালীন টোমো বহু চ্যালেঞ্জিং কাজ করেছেন। জয়েন্ট ‘টেরোরিজ়ম টাস্ক ফোর্স’ এবং ‘এফবিআই’-এর সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। এক দশক ধরে এই পেশায় যুক্ত থাকার পর পেশা বদল করেন তিনি। ছোট থেকেই টোমো ফিটনেস সচেতন। ভারোত্তোলন করতেন। পেশার কারণেও তাঁকে ফিট থাকতেই হত। তাই তিনি এমন কিছু কাজ করতে চেয়েছিলেন যা স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সেই মতো প্রথমে তিনি একটি হরমোন চিকিৎসার ক্লিনিক খোলেন। যার মূল্য উদ্দেশ্য হল, পুরুষদের যৌনজীবন আরও সুন্দর করে তোলা।
শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে উত্তেজিত হতে না পারার সমস্যায় ভোগেন অনেক পুরুষই। চিকিৎসা পরিভাষায় এই সমস্যাকে ‘ইরেক্টাইল ডিসফাংশন’ বলে। এই সমস্যা থেকে পুরুষদের মুক্তি দিয়ে যৌনজীবন আরও উদ্দীপনাময় করে তুলতে চান টোমো। বিভিন্ন ভাবে এর চিকিৎসা হয়। তবে টোমোর এই ক্লিনিকে ওষুধ এবং হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির মাধ্যমে এই সমস্যার মোকাবিলা করা হয়।
ইদানীং অবশ্য শুধু পুরুষ নয়, যে মহিলারা ঋতুবন্ধের দিকে এগোচ্ছেন তাঁদের যৌনজীবন চাঙ্গা রাখতেও বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হয়েছে এই ক্লিনিকে। টোমোর কথায়, ‘‘যৌনজীবন চাঙ্গা রাখা খুব জরুরি। ব্যক্তিগত সম্পর্কেও প্রভাব পড়ে এর উপর। যৌনতা একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কিন্তু সেখানে কোনও সমস্যা দেখা দিলে অনেকেই এই বিষয় কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। আমি চাই আমার ক্লিনিকে এসে সেই অস্বস্তি সকলের কেটে যাক। আমি জানি যে, এক জন পুরুষের যৌনজীবন ব্যাহত হলে ঠিক কতটা অসহায় বোধ হয়।’’ ক্লিনিক যাঁরা চিকিৎসা করাতে আসেন, তাঁদের যৌনতাকালীন সময়ে কী ভাবে আরও বেশি সক্রিয় থাকা যায়, তা নিয়েও কিছু বিশেষ পরামর্শও দিয়ে থাকেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy