Advertisement
E-Paper

প্রিয় শিঙাড়া, তেলেভাজা, কচুরি, জিলিপি খেয়েও ফিট থাকা যায়! ৩ পরামর্শ দিলেন ফিটনেস প্রশিক্ষক

জাঙ্ক ফুডের মাহাত্ম্য আলাদাই! তার কারণ, এই একটি খাবার পেট ভরানোর জন্য খাওয়া হয় না। ভাত-রুটি-ডাল-তরকারি যেখানে পুষ্টি জোগায়, সেখানে জাঙ্কফুড জোগান দেয় নির্মল আনন্দের।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৬

ছবি : শাটারস্টক।

ভাজাভুজি খেতে কার না ভাললাগে! সে পাড়ার মোড়ের দোকানের চপ-তেলেভাজা-শিঙাড়া-ফুলুরি হোক বা রেস্তরাঁর ফিশফিঙ্গার, কাটলেট, কবিরাজি, মোগলাই! অথবা বিদেশ থেকে এসে আধুনিক বঙ্গজীবনের অঙ্গ হয়ে যাওয়া পিৎজ়া, বার্গার, হটডগ, ফ্রেঞ্চফ্রাইজ়— জাঙ্ক ফুডের মাহাত্ম্য আলাদাই! তার কারণ, এই একটি খাবার পেট ভরানোর জন্য খাওয়া হয় না। ভাত-রুটি-ডাল-তরকারি যেখানে পুষ্টি জোগায়, সেখানে জাঙ্ক ফুড জোগান দেয় নির্মল আনন্দের। বন্ধুদের আড্ডায় চা-শিঙাড়া বা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে ক্যাফেতে বসে বার্গার— জাঙ্ক ফুডের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, তৈরি হয় নানা রকম সুখস্মৃতি। কিন্তু দিনের শেষে জাঙ্ক ফুড ‘জাঙ্ক’ অর্থাৎ আবর্জনারই শামিল। স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্য ভাল রাখার পরামর্শ দিলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ‘জাঙ্ক’ খাবারদাবারে রাশ টানতে বলেন। কিন্তু তা বলে কি রাশ টানবেন আনন্দেও?

ছবি: পিকচারনামা।

এক ফিটনেস প্রশিক্ষক অবশ্য বলছেন, জাঙ্ক ফুডের আনন্দকে বিদায় না জানিয়েও স্বাস্থ্য ভাল রাখা সম্ভব। রাজ গণপত নামের ওই ফিটনেস প্রশিক্ষক এক জন পেশাদার পুষ্টিবিদও। সমাজ মাধ্যমে তাঁর অনুগামীর তালিকায় রয়েছেন বলিউডের তারকারাও। তিনি বলছেন, জাঙ্কফুড খাওয়া পুরোপুরি ছাড়তে হবে না। তবে তার জন্য তিনটি বিষয় মেনে চলতে হবে।

১। উসুল করে নিন

বন্ধুরা মুখের সামনে জাঙ্কফুড ধরছে বলেই খেয়ে নেবেন না। ভেবে দেখুন ওই জাঙ্কফুড খেলে সত্যিই ভাল লাগবে কি? যদি খাবারটি খেতে ভাল লাগে, খাবারটি আগাগোড়া উপভোগ করেন, তবেই খান।

— ফাইলচিত্র।

২। খিদে পেলে নয়

প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে। আর আপনি ফুড ডেলিভারি অ্যাপে গিয়ে পিৎজ়া বা বার্গার অর্ডার করলেন। কিংবা দোকান থেকে কিনে আনলেন কচুরি!তাতে যে ক্ষতিটা হবে তা হল, জাঙ্ক ফুড খাওয়া হবে বেশি। ফলত যে খাবারে তেমন পুষ্টিগুণ নেই, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, সেই খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হবে। রাজ তাই বলছেন খিদে পেলে প্রথমে স্বাস্থ্যকর কিছু খেয়ে কিছুটা পেট ভরান। তার পরে ইচ্ছে হলে জাঙ্ক ফুড খান। এতে ভাজাভুজি খাওয়ার পরিমাণ আপনা থেকেই কম হবে।

— ফাইল চিত্র।

৩। নাগালের মধ্যে নয়

প্যাকেটজাত ভাজাভুজি খাবার যেমন চিপস, কুকিজ়, ভুজিয়া, চানাচুর ইত্যাদি বাড়িতে এনে না রাখাই ভাল। কখনও আনলে অতিরিক্ত থেকে গেলে দরকার হলে ফেলে দিন। আবার দরকার হলে আবার কিনে আনবেন। তাতে অসুবিধা হবে ঠিকই। হয়তো ইচ্ছে হলেই হাতের কাছে পাবেন না। তবে সেটাই তো আপনার আসল উদ্দেশ্য।

Junk Food
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy