একা হাতে পাঁচরকমের কাজ সামলানোই এ যুগের রীতি। মেল, নোটিফিকেশন, টু-ডু লিস্ট (দিনের কাজের লম্বা তালিকা), টার্গেট (কর্মক্ষেত্রের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য ) ছোঁয়ার চাপ তো থাকেই। তার উপর কাজ একটু এ দিক থেকে ও দিক হলে ঊর্ধ্বতনের কাছে কথা শোনার চাপও সামলাতে হয়। আর এই সব রকম চিন্তার মধ্যে নিজের কাজটাও করতে হয় মন দিয়ে।
হাজার ভাবনা মাথায় চলতে থাকলে কোনও একটি কাজে মনঃসংযোগ করা সহজ নয়। কিন্তু তা না করেও উপায় নেই। কাজে মন দিতে না পারলে অকারণ দেরি, ভুলের সম্ভাবনা, বসের বকুনি এবং সময়ে ছুটি না পাওয়ার মতো হাজারো সমস্যার খাঁড়া ঝুলতে থাকে মাথায়। অন্য দিকে, কাজে মন ফেরানোর সঠিক প্রক্রিয়া জানা থাকলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যেতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মনঃসংযোগের এই প্রক্রিয়াগুলি কার্যকরী এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিভ্রান্ত ভাব কাটিয়ে কাজে মন দিতে সাহায্য করে। ৫ মিনিটের মধ্যেই মনোযোগ ফেরানোর তেমনই কিছু অভ্যাস জেনে নিন।
১। গভীর শ্বাস নেওয়া
চোখ বন্ধ করে ১০ বার নাক দিয়ে গভীর শ্বাস নিন। শ্বাস ছাড়ার সময় মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। বহু গবেষণাতেই দেখা গিয়েছে, এই অভ্যাস মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, ভাবনাচিন্তার ভিড় এড়িয়ে মাথা ঠান্ডা রাখতে এবং সহজ ভাবে ভাবতেও সাহায্য করে এই পদ্ধতি।
২। অল্প হেঁটে বেড়ানো
এক জায়গায় বসে না থেকে একটু হাঁটাচলা করুন। দরকার হলে খোলা হাওয়ায় বারান্দায়, করিডরে বা রাস্তায় মিনিট পাঁচেক হাঁটলেও মন শান্ত হবে। তবে সঙ্গে বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের না রেখে একা হাঁটলেই ভাল।
৩। সমগ্র চেতনা এক দিকে নিবদ্ধ করা
সম্পূর্ণ সচেতন হয়ে কোনও একটি কাজ করুন। হতে পারে আপনি মন দিয়ে শুধুই শ্বাস নিলেন পাঁচ মিনিট। অথবা মন দিয়ে পাঁচ মিনিট লিখলেন, সারা দিন কী কী করলেন। কিন্তু এটি করার সময় অন্য কোনও দিকে মন দিলে চলবে না। সম্পূর্ণ মন একটি কাজেই নিবদ্ধ করতে হবে।
৪। জল পান করা
অনেক সময় শরীরে আর্দ্রতা কমলেও ব্রেন ফগ হতে পারে। অর্থাৎ ভুলে যাওয়া বা স্মৃতি ঠিক মতো কাজ না করার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। মনঃসংযোগে ব্যাঘাতের কারণ হতে পারে তা-ও। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল খেতে ভুলবেন না।
৫। ‘হোয়াইট নয়েজ়’ শোনা
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ‘হোয়াইট নয়েজ়’ যেমন বৃষ্টির শব্দ, জঙ্গলে পাখির ডাক, নদীর জলের শব্দ, হাওয়ায় পাতার ঝরঝর শব্দ বা কোনও হালকা মিউজ়িক মনঃসংযোগে সাহায্য করতে পারে। চোখ বন্ধ করে পাঁচ মিনিট তেমন শব্দ শুনলেও মঃনসংযোগে সাহায্য করতে পারে তা।